মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্ব কাদের হাতে থাকবে তা নিয়ে দু’পক্ষের কাজিয়ায় শিকেয় উঠল পড়াশোনা। বৃহস্পতিবার মানবাজার থানার বনকাটা প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা।
বনকাটা প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১১৫। শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন মিড-ডে মিল রান্নার কাজ করে আসছিলেন ৪টি স্বনির্ভর দলের মহিলারা। কয়েকমাস আগে গ্রামের আরও ৪টি স্বনির্ভর দল কাজ করতে চেয়ে প্রধানশিক্ষকের কাছে আবেদন করে। ওই দলগুলির সদস্যদের দাবি, গ্রামের সমস্ত স্বনির্ভর দলকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্নার দায়িত্ব দিতে হবে। কিন্তু এই প্রস্তাবে বেঁকে বসে রান্নার দায়িত্বে থাকা দলগুলি। প্রধান শিক্ষক অরূপ হালদার বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে অশান্তি চলছিল। বৃহস্পতিবার ব্যাপারটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোয় বিডিও-কে জানিয়েছি।’’
বৃহস্পতিবার দায়িত্ব চেয়ে আবেদন করা দলগুলির সদস্যেরা এক সঙ্গে স্কুলে আসেন। তাঁদের সঙ্গে বর্তমানে রান্নার দায়িত্বে থাকা মহিলাদের বিবাদ শুরু হয়। দু’পক্ষই স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করায় গোলমাল বেঁধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এবং বিডিও (মানবাজার ১) স্কুলে যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, শিক্ষকেরা দু’পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। ক্লাস ছেড়ে পড়ুয়ারাও সেখানে ভিড় করেছে। রান্নার দায়িত্বে থাকা ফুলমণি মাঝি, ইলা মাঝিরা বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরে এই কাজ করে আসছি। অন্য দলগুলো অশান্তি বাধানোর জন্য এ সব করছে।’’ আবেদনকারী দলের সদস্য মালা বাউরি, সুমিত্রা বাউরিদের পাল্টা দাবি, ‘‘নির্দিষ্ট কিছু দল কেন এই সুযোগ পাবে? গ্রামের সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে।’’ বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘দু’পক্ষের কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’