বিষ্ণুপুরের মন্দির। —ফাইল চিত্র
পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে এ বার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজের প্রতিটি ঘরে রাখা হবে মিনি ফ্রিজ। পর্যটন দফতরের ওই অতিথি নিবাসে ঘরের সংখ্যা ২৭। সম্প্রতি ট্যুরিস্ট লজের পরিকাঠামো ‘তিন তারা’ হোটেলের স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিনি রেফ্রিজ়ারেটর সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বলে জানাচ্ছেন অতিথি নিবাসের কর্তৃপক্ষ। বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজের শোভাবর্ধন এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। দ্রুত সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
ট্যুরিস্ট লজের ম্যানেজার দীনেশ হালদার জানান, পানীয় এবং এবং ইনসুলিন জাতীয় ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজের প্রয়োজন। অনেক ‘ডায়াবেটিসে’ আক্রান্ত পর্যটককে প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে হয়। ট্যুরিস্ট লজের ঘরে সেই ওষুধ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হত তাঁদের। এ বার তার সুরাহা হবে।
প্রতিযোগিতার বাজারে পর্যটক টানার লড়াইয়ে বেসরকারি হোটেলগুলির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধেছে সরকার। রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের অধীনে থাকা ট্যুরিস্ট লজগুলির পরিকাঠামো ‘তিন তারা’ হোটেলের স্তরে উন্নীত করার কাজ চলছে।
দীনেশবাবু বলেন, ‘‘ঘরে মিনি ফ্রিজ থাকলে পর্যটকেরা চাইলে ঘরে প্রয়োজন মতো জিনিস সংরক্ষণ করতে পারবেন। আমরা দু’টি ঘরে ইতিমধ্যেই মিনি ফ্রিজ দিয়েছি। বাকি ঘরগুলির দেওয়ার জন্য ফ্রিজ কেনা হচ্ছে। আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই অতিথি নিবাসের প্রতিটি ঘরে মিনি ফ্রিজ দিয়ে দেওয়া যাবে।’’
প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকলে ভোল বদলাচ্ছে পর্যটন-নগরী বিষ্ণুপুরের এই সরকারি ট্যুরিস্ট লজ। বুধবার রাজ্য পর্যটন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক কেটলি। রয়েছে টি-ব্যাগ, গুঁড়ো দুধের ছোট প্যাকেট এবং সুগার কিউব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আগে চা খাওয়ার ইচ্ছা হলে লজের কর্মীদের বলতে হত। অনেক সময় চেয়েও চা পেতেন না পর্যটকেরা। এখন চা পানের ইচ্ছা হলে নিজেরাই তা তৈরি করতে পারবেন।’’ তা ছাড়া, প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে কোল-বালিশ।
বিষ্ণুপুরে পর্যটন মরসুম শুরু হয়েছে। রাজ্যের পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সম্প্রতি পর্যটন দফতরের উদ্যোগে মেলা হয়েছে বিষ্ণুপুরে। সম্প্রতি জোড় শ্রেণির মন্দির সংলগ্ন পোড়ামাটির হাটে ‘বিষ্ণুপুর সঙ্গীত মেলা’ হয়েছে। পর্যটন দফতরের ওই আধিকারিকের দাবি, ‘‘বিষ্ণুপুর বেড়াতে ও মেলা দেখতে বহু পর্যটক । তাঁদের অনেকেই থাকেন বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজে। চাইব, লজের পরিকাঠামো পর্যটকদের নজর কাড়ুক।’’