ইন্দ্রজিৎ মিশ্র ও শুভশ্রী দে
পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া দাদার সঙ্গে দেখা করতে এসে পরিবেশ দেখে মুগ্ধ গিয়ে গিয়েছিল ইন্দ্রজিৎ মিশ্র। তাই পঞ্চম শ্রেণিতে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তির সুযোগ পেয়েও সেই পুরুলিয়াতেই আসে। সেই ইন্দ্রজিৎই এ বার মাধ্যমিকের সম্ভাব্য সেরার তালিকায় নাম তুলে ফের মুখ উজ্জ্বল করল পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের।
পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুকের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ৬৮০ নম্বর পেয়ে দশম স্থান পেয়েছে। অঙ্ক ও জীবন বিজ্ঞানে একশোতে একশো নম্বরই সে পেয়েছে। ইন্দ্রজিৎ নরেন্দ্রপুর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। সে ডাক্তার হতে চায়।
তমলুকের বাড়ি থেকে বুধবার সকালেই সে বাবার সঙ্গে পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথেই খবর পায় মেধা তালিকার দশম স্থানে তার নাম। ইন্দ্রজিতের কথায়, ফল ভাল হবে আশা করলেও, ভাবতে পারিনি রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান পাব। পুরো কৃতিত্বই রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ও কর্মীদের।” তবে এরই ফাঁকে সে জানাতে ভোলেনি, পড়াশোনার বাইরে ক্রিকেট খেলতেও সে ভালবাসে।
এ দিন বিভিন্ন স্কুলে খোঁজ করে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে জেলায় মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য সেরা পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী গার্লস হাইস্কুলের শুভশ্রী দে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭০। অঙ্ক ও জীবনবিজ্ঞানে ১০০ নম্বর পাওয়া নামোপাড়ার বাসিন্দা শুভশ্রী অবশ্য সামগ্রিক ভাবে নিজের ফলাফলে সন্তুষ্ট নয়। তার আক্ষেপ, ‘‘ইংরেজি ও ভূগোলে অনেক নম্বর কমে গিয়েছে। স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই বিষয়ের উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়ণ করার আবেদন করবে। সেও বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। পড়াশোনার বাইরে নাচ, গান, আবৃত্তিতে সে আগ্রহী।