প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজোর আগেই, বাঁকুড়া জেলার দুই পুরশহর, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের ১০০ শতাংশ মানুষকে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করল স্বাস্থ্য দফতর।
কিছু দিনের মধ্যে জেলার আর এক পুর-শহর, সোনামুখীতেও সকলকে প্রথম ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্য পূরণ হবে বলেও দাবি।
পাশাপাশি, গ্রামাঞ্চলে প্রতিষেধক দেওয়ার গতির নিরিখে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার চেয়ে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলা অনেকটা এগিয়ে রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য জানাচ্ছে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বলেন, “বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর পুরশহরে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। সোনামুখীতেও কয়েক দিনের মধ্যে সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। এ বারে, গ্রামাঞ্চলে দ্রুত করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শেষ করে ফেলাই আমাদের লক্ষ্য।”
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় বাঁকুড়া পুরশহর-সহ বাঁকুড়া সদর ও খাতড়া মহকুমার ১৬টি ব্লক রয়েছে। এ দিকে, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরশহর-সহ বিষ্ণুপুর মহকুমার ছ’টি ব্লক রয়েছে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলায়।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাঁকুড়া পুরশহরে মোট এক লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সে মাত্রা পূরণের পরে, আরও ১২ শতাংশ মানুষ প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় পেয়েছেন বলে দাবি। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। বিষ্ণুপুর পুরশহরে ৫৩ হাজার ৬১৭ জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।
সে ক্ষেত্রেও মাত্রা পূরণের পরে, আরও ১৪ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ় পেয়েছেন বলে দফতরের দাবি। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ মানুষ।
এ দিকে, সোনামুখী পুরশহরে ২১ হাজার ৩১৬ জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ় পেয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ২৫ শতাংশ মানুষ।
সামগ্রিক বিচারে, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলায় লক্ষ্যমাত্রার ৬১.৪৪ শতাংশ ও বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় ৩৭ শতাংশ মানুষ প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় পেয়েছেন বলে তথ্য বলছে।
বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকারের দাবি, “সোনামুখী শহরে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা চলতি সপ্তাহেই পূরণ করা হবে। সেইমতো কাজ শুরু হয়েছে।”
তাঁর সংযোজন, “কেবল সোনামুখী শহর নয়, পুজোর আগে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ শুরু করেছি আমরা। প্রতিটি ব্লকে বড় সংখ্য়ায় মানুষ প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। এ বারে প্রতিষেধক দেওয়ার কেন্দ্র আরও বাড়ানো হচ্ছে।”
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেনের মন্তব্য, “বাঁকুড়া পুরশহরে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এ বারে গ্রামাঞ্চলে বিশেষ শিবির করে প্রতিষেধক দেওয়ার গতি বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।”
পুজোয় পথেঘাটে ভিড় বাড়বে। তাই পুজোর আগে যত বেশি মানুষ প্রতিষেধক নেবেন, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও তত কমবে, আশাবাদী বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান।