নিজস্ব চিত্র
একের পর এক রাস্তা, সেতু চলে গিয়েছে জলের নীচে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টির জেরে বীরভূম জেলাজুড়ে একের পর এক নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলমগ্ন গোটা জেলাই। বিগত ৫ দিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টির দাপটে বীরভূমের প্রতিটি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জলের চাপ বাড়ায় একাধিক জলাধার থেকে জলও ছাড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের দেওঘর সংলগ্ন অজয় নদীর উপর তৈরি শিকটিয়া জলাধার থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর আরও ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে বলে খবর। সেই কারণে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অজয় নদ-সংলগ্ন গ্রামগুলিতে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ফুঁসছে ময়ূরাক্ষী নদীও। যদিও এই নদীর উপর থাকা দুই জলাধার থেকে জল ছাড়ার নির্দেশ আসেনি এখনও।
অন্য দিকে, বীরভূমের সিউড়িতে চন্দ্রভাগা নদীর জল বাড়ায় জলের নীচে চলে গেল সেতু। জলের নীচে গিয়েছে খয়রাসোলের হিংলো নদীর উপরে তৈরি সেতুও। চন্দ্রভাগা নদীর উপর সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের মল্লিকপুর গ্রামের এই সেতুটি জলের তলায় চলে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৭টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বীরভূমের খয়রাশোলের হিংলো নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় বাবুইজোড় এলাকা থেকে দুবরাজপুর যাবার একটি রাস্তায় তৈরি সেতুও জলের তলায় চলে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ছেন মানুষ। যেমন, শুক্রবার সকালে এই পথ দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যেতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পান এক আরোহী। এই সেতু ডুবে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ৫টি গ্রামের মানুষ। তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে।