প্রতীকী ছবি।
গত মাস আটেক ধরে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের বারান্দায় গিয়ে ঘুমোতেন। রবিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখলেন, সেখানেই পড়ে রয়েছে বৃদ্ধ ভরত মান্ডির (৬৫) দেহ। বাঁকুড়ার ওন্দার শান্তিবাঁধ এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের ছেলে মধুসূদন মান্ডি ওন্দা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে কে বা কারা কেন ওই বৃদ্ধকে খুন করল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তাঁদের কাছেও ব্যাপারটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। মধুসূদন বলেন, ‘‘বাবার সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা ছিল না। কেন এ ভাবে কেউ তাঁকে খুন করতে যাবে, আমরা তো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের চার ছেলে। তাঁরা দিনমজুরি করেন। শান্তিবাঁধেই নিজের নিজের পরিবার নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন। ছেলেদের কাছে খেতেন তিনি। ছেলেদের বাড়ি ছাগল চরাতেন।
গত মাস আষ্টেক ধরে রোজ রাতে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে খাটিয়া নিয়ে গিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। বৃদ্ধের ছেলেদের দাবি, শনিবার রাতেও প্রাথমিক স্কুলে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে গ্রামেরই কিছু বাসিন্দা তাঁদের খবর দেন। গিয়ে দেখেন, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ভরতকে। পড়ে রয়েছে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রুজু হয়েছে খুনের মামলা। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। খুনের কারণ নিয়ে রাত পর্যন্ত অন্ধকারেই রয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা ছিল না বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তার পরেও কেন এ ভাবে খুন করা হল, সেটাই গোড়ার ধন্দ।’