ভেঙেছে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
টানা বৃষ্টিতে চালাঘর ভেঙে আহত হয়েছেন এক দম্পতি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে লাভপুরের ইন্দাস হাটতলায়। আহত জগন্নাথ কর্মকার এবং তার স্ত্রী তুলসী কর্মকারকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির নামে সম্প্রতি বাড়ি তৈরির সরকারি অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। সেই টাকায় বাড়ি তৈরির কাজও চলছে। তাই ওই দম্পতি ছেলে, বৌমা এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কামারশালার চালাঘরে ছিলেন। সেই চালাঘর ভেঙেই দু'জনে আহত হন। বিডিও (লাভপুর) সন্তু দাস জানান, পরিবারের বাকি সদস্যদের উদ্ধার করে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। ত্রিপল-সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্য দিকে, দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে ইলামবাজার ব্লকেরও একাধিক গ্রামে অনেকগুলি কাঁচা বাড়ি পড়ে গিয়েছে, কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বাধ্য হয়ে কেউ খোলা আকাশের নীচে ত্রিপল টাঙিয়ে দিন কাটাচ্ছেন, আবার কেউ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির কথা মানলেও প্রশাসনের বক্তব্য, এই মুহূর্তে কত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়।
এ ছাড়াও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। মাটির বাড়ি পড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সারা রাত ত্রিপল টাঙিয়ে সপরিবার থেকেছেন বিলাতি অঞ্চলের ধল্লা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম লোহার। তিনি বলেন, “সরকার থেকে আবাস যোজনার বাড়ি এসেছে, কিন্তু সেই বাড়ি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি, তাই মাটির ঘরেই থাকছিলাম। প্রবল বৃষ্টিতে রাতেই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। বিপদ বুঝে ত্রিপল টাঙিয়ে রাত কাটিয়েছি কোনও রকমে।’’
একই অবস্থা ইলামবাজার শীর্ষা অঞ্চলের বাসিন্দা টুম্পা রুইদাস ,জগদীশ বাগদি, শান্তিরাম ঘোষদের। লাগাতার টানা বৃষ্টিতে তাদেরও বাড়ির একাংশ পড়ে যায়। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। অনেক ক্ষতি হয়েছে। কী করব, ভেবে পাচ্ছি না।’’ নানাশোল, মঙ্গলডিহি, জয়দেব, ধরমপুর অঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামেও একাধিক বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। তার তালিকা তৈরি করে জেলায় পাঠানো হবে।’’