প্রাক্তনীর চোখে
viva bharati

ক্যাম্পাসেও কি সুরক্ষিত নয় পড়ুয়ারা

যে ছাত্ররা আক্রান্ত হয়েছে তাদের উদ্দেশে আমার আবেদন, কোনও প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে তারা যেন এই একই ঘটনা অপর পক্ষের উপর না ঘটায়। গাঁধীজি বলেছিলেন ‘চোখের বদলে চোখ’ এই তত্ত্বে এক দিন গোটা পৃথিবীই অন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রতিবাদ হোক, প্রতিরোধ হোক। কিন্তু, প্রতিশোধ যেন না হয়।

Advertisement

সৌরভ চক্রবর্তী

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০১
Share:

প্রতিবাদ: পোস্টার হাতে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসেও কি সুরক্ষিত নয়? যাদবপুর বা জেএনইউ-এর সঙ্গেই একাসনে বসে গেল বিশ্বভারতী? বুধবার রাতের ঘটনার পরে এই প্রশ্নগুলোই মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

Advertisement

বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমার মনে হয় এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, একই সঙ্গে আশঙ্কাজনক। কোন দল, কোন মতের বিরোধিতা করেছে তা আমার আলোচ্য বিষয় নয়। এমনকি তা আমি জানতেও চাই না। আমি শুধু চাই, এক জন শিক্ষার্থী তার নিজের শিক্ষাঙ্গণে নিরাপদে থাকুক, সুস্থ থাকুক। যারাই এই কাজ করে থাকুন, তারা আর যাই হোক ছাত্র হওয়ার যোগ্য নন। যে ছাত্ররা আক্রান্ত হয়েছে তাদের উদ্দেশে আমার আবেদন, কোনও প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে তারা যেন এই একই ঘটনা অপর পক্ষের উপর না ঘটায়। গাঁধীজি বলেছিলেন ‘চোখের বদলে চোখ’ এই তত্ত্বে এক দিন গোটা পৃথিবীই অন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রতিবাদ হোক, প্রতিরোধ হোক। কিন্তু, প্রতিশোধ যেন না হয়।

আমি আশা করব, যারা এই আক্রমণ করেছে তারা নিজেদের ছাত্রসত্ত্বার প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের কোনও কাজ করবে না। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রছাত্রীরা একে অপরকে সাহায্য করবে, বিপদে একে অপরকে সহায়তা করবে এটাই কাম্য। বিরোধ কোন ভাবেই রাজনৈতিক আদর্শ হতে পারে না। মনে রাখতে হবে আমাদের শিক্ষায়তন রবীন্দ্রনাথের তৈরি। আশা রাখব, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবশ্যই যেন এই বিষয়টিকে অত্যন্ত কঠোর ভাবে দেখেন এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনও রকম অপরাধ সংঘটিত না হয় তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।

Advertisement

আক্রমণের কারণ সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য সামনে না এলেও আক্রান্ত ছাত্রদের থেকে জেনেছি ৮ জানুয়ারি রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে ঘেরাও এর সঙ্গে যারা যারা যুক্ত ছিল, তারাই এই আক্রমণের লক্ষ্য। উপাচার্য ঘনিষ্ঠ ছাত্ররাই তাদের রাতের অন্ধকারে রড, উইকেট, তক্তা, পেরেক লাগানো ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলেও শুনেছি।

আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা কি আদৌ কাম্য?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement