অভিষেক গেলেন নিহত কর্মীর বাড়িতে

শনিবার পুরুলিয়ায় সভা সেরে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে বাঁকুড়ার পাটপুরে রমেশের বাড়িতে যান অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৮ ০২:২২
Share:

বাঁকুড়ার পাটপুরে রমেশের বাড়ির বাইরে। নিজস্ব চিত্র

ভোটের দিন গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল বাঁকুড়ার যুব তৃণমূল কর্মী রমেশ বাগদির। শনিবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে দেখা করলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীরা শাস্তি পাবে বলে মৃতের পরিবারকে আশ্বাসও দিলেন তিনি।

Advertisement

শনিবার পুরুলিয়ায় সভা সেরে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে বাঁকুড়ার পাটপুরে রমেশের বাড়িতে যান অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে রমেশের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। তিনি চলে যাওয়ার পরে রমেশের বাবা বলাই বাগদি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তারা সবাই শাস্তি পাবে বলে অভিষেক আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।”

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ধলডাঙায় গণপিটুনিতে জখম হন রমেশ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের বাইকবাহিনী গ্রামে ভোট লুট করতে গিয়েছিল। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়লে অন্যরা পালাতে পারলেও রমেশ ধরা পড়ে গিয়ে জনরোষের শিকার হন। যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খানের দাবি, ভোট লুট করতে মোটেও যাননি রমেশ। ওই এলাকার এক ব্যক্তিকে টাকা ধার দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিজেপির লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে। অরূপ এ দিন বলেন, “অভিষেক জেলার পুলিশ সুপারকেও দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করতে বলেছেন।’’

Advertisement

বাঁকুড়া পুলিশ জানিয়েছে, রমেশকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement