প্রতিলিপি হাতে। নিজস্ব চিত্র।
দ্বিতীয় দিনেই প্যাকেজ নিয়ে সাড়া মিলেছে এলাকায়। যে এলাকার তিনটি মৌজায় প্রস্তাবিত কয়লা খনি শুরু হওয়ার কথা, শনিবার সেই হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৫৬ জন বাসিন্দা প্যাকেজের প্রতিলিপি নিয়ে গিয়েছেন বলে পঞ্চায়েত সূত্রে খবর।
সরকার ঘোষিত প্যাকেজ আরও নিবিড় ভাবে মহম্মদবাজারে প্রস্তাবিত কয়লা এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। প্যাকেজের প্রতিলিপি বাংলায় এবং বাংলা হরফে লেখা সাঁওতালি ভাষায় ছাপানো কয়েক শো করে লিফলেট স্থানীয় হিংলো ভাঁড়কাটা, সেকেড্ডার মত পঞ্চায়েত গুলিতে পৌঁছে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ১৯ তারিখ সরকার ঘোষিত প্যাকেজের কথা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে পৌঁছেছিল। সকলে পাননি। পরে প্রশাসন উপলব্ধি করে যতক্ষণ না প্যাকেজ সংক্রান্ত বিষয়টি সকলে জানতে পারছেন সেটা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শুক্রবার গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে প্রতিলিপি পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য হল সরকার ঘোষিত প্যাকেজে নিয়ে যেন কোনও বিভ্রান্তি যেন না থাকে। ঠিক কী আছে ওই প্যাকেজে এলাকার মানুষ জেনে বুঝে নিন, নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করুন। প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে স্থানীয় মানুষ পঞ্চায়েত, ব্লক বা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। সেই নিয়ে মাইকে প্রচারও চলে । শনিবারই তাতে সাড়া পড়েছে।
হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবদাস ঘোষ দাস বলেন, ‘‘যাঁরা প্যাকেজের প্রতিলিপি নিতে এসেছিলেন তাঁদের দেওয়া হয়েছে। কারও কারও নানা প্রশ্নও ছিল।’’ শুধু প্যাকেজ নিয়ে নয়, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর আয়োজিত এলাকার মানুষের জমির রেকর্ড সংশোধন করানোর জন্য শিবিরেও ভাল সাড়া পড়ছে বলে জানিয়েছেন উপ প্রধান।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এ দিন হিংলো এলাকায় শিবিরে ১০০জন জমির নথি ঠিক করানোর আবেদন জমা গিয়েছেন। তার মধ্যে মিউটেশেন রয়েছে ৪৯টি এবং ৫১টি ওয়ারিশ সংক্রান্ত আবেদন। আরও ২০০ জন আবেদন পত্র তুলেছেন। শিল্প হলে ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন পেতে জমি সংক্রান্ত নথি সংশোধন গুরুত্বপূর্ণ বলেই শিবিরে আসছেন বাসিন্দারা।