বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবাস প্রকল্পে বাদ পড়া ‘যোগ্য’দের বিজেপির ছাতার তলায় টানার কৌশল নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা সত্যিই (বাড়ি) পাওয়ার যোগ্য, অথচ পাননি, তাঁরা (বিজেপির) মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা দেবেন।’’ পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্তদের জেলযাত্রা ‘পিসি-ভাইপো’য় (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) শেষ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা, ‘‘যাঁর জেলে থাকার কথা, তিনি গলা ফাটাচ্ছেন! আবাস প্রকল্পে ওঁর কী করার আছে? গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল!’’
আবাস প্রকল্পের তালিকা নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে তা নিয়ে আসরে নেমেছেন বিরোধীরা। তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে এ দিন নলহাটির সভায় শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘টাকা নিয়ে তালিকা বানিয়েছে তৃণমূল।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘ তথ্য সঠিক হলে, যাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন না, তাঁদের বিষয়টা আমি দেখব।’’
এ দিন নলহাটিতে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূল নেতা বিপ্লব ওঝা। তাঁর এই যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত সভায় শুভেন্দু চড়া সুরে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেককে। শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ টেনে আর্থিক লেনদেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে যে ৫৮ হাজার নিয়োগের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে হয়েছে ৫ হাজার জনের। রাজ্যের চাকরি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার।’’ সেই সূত্রেই মমতা ও অভিষেককে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই টাকার ২৫ ভাগ পার্থ-মানিকের মতো নেতারা নিয়েছেন। বাকি ৭৫ ভাগ টাকা কলকাতায় তৃণমূলের হেড কোয়ার্টারে গিয়েছে। চোরেদের মহারানি এবং তাঁর ভাইপো জেলে যাবেন।’’
কুণালের পাল্টা, ‘‘বিজেপি যাঁকে চোর বলেছিল, সিবিআই যাঁর নামে এফআইআর করেছিল, সেই শুভেন্দু বিজেপিতে গিয়ে নিজের জেলযাত্রা ঠেকিয়েছেন। তাঁর মুখে এ সব মানায়?’’ আবাস প্রকল্পের তালিকা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সে জন্য সব জায়গায় কমিটি করতে হবে তো! বিজেপির মণ্ডল সভাপতি হল গরুর ‘গাড়ির হেডলাইট।’’
দুর্নীতির প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘আবাস প্রকল্পের দুর্নীতিতে অন্তত দশ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। দুর্নীতিতে তৃণমূল পিএইচডি করতে পারে!’’