প্রতীকী ছবি।
প্রশ্নচিহ্ন ঝুলেই রইল পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্যে।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চে আজ পঞ্চায়েত মামলার শুনানি বা সিদ্ধান্ত, কিছুই হল না। তিন সদস্যের এই বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় আজ অনুপস্থিত ছিলেন। তাই শুনানি হয়নি। আগামী সোমবার, অর্থাৎ ১৩ অগস্ট এই মামলার শুনানি হতে পারে। রাজ্যের আইনজীবীদের বক্তব্য, শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় এখনই কোনও সঙ্কট তৈরি হচ্ছে না। কারণ পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৫ অগস্টের পরে। কাজেই আগামী সপ্তাহের ১৩ অগস্ট শুনানি হলেও কোনও সমস্যা নেই।
আইনত, পঞ্চায়েতের যে সব জায়গায় হাতে গোনা কয়েক জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে এসেছেন, তাঁদের বাইরে রেখে ভোটাভুটিতে জয়ীদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা যায়। কিন্তু যে সব ক্ষেত্রে বেশির ভাগই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী, সেখানে বোর্ড গঠন করা মুশকিল। সে ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে কোনও ফয়সালা হওয়ার আগে পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে, রাজ্য সরকারকে প্রশাসক নিয়োগ করে কাজ চালাতে হবে।
রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে শাসক দল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মে মাসের নির্দেশে সেই সব আসনের ফলাফল গেজেট-বিজ্ঞপ্তি করে প্রকাশ করা হয়নি। এর ফলে কোনও জেলাতেই বোর্ড গঠন করা হয়নি। সে কারণেই সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল রাজ্য সরকার।
প্রশাসনিক সমস্যা না থাকলেও, বুধবার রাজ্যের আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানাবেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানির চাপে আগামী সোমবারের আগে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলার জন্য সময় হওয়া মুশকিল।
আরও পড়ুন: আজ পরিবহণ ধর্মঘট, রুখতে তৈরি রাজ্যও
এ বারের নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৯২১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে ৩০৫৯টি আসনে৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৪৮ হাজার ৬৫০টি আসনের মধ্যে ১৬ হাজার ৮১৪টিতে বিনা লড়াইয়ে জিতেছে শাসক দল। জেলা পরিষদের মোট ৮২৫টির মধ্যে ২০৩টি আসনে কোনও লড়াই হয়নি। যা শুনে প্রধান বিচারপতি ‘শকিং’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। শেক্সপিয়রের হ্যামলেট উদ্ধৃত করে বলেছিলেন, ‘‘এত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে ধারণা হয়, সামথিং ইজ রটেন ইন দ্য স্টেট অব ডেনমার্ক।’’