হিন্দি স্কুল নিয়ে বৈঠকে প্রশাসন

অস্থায়ী শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন না। মিড ডে মিল বন্ধ। স্কুলের অ্যাকাউন্ট থেকে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার খাতা, প্রশ্নপত্র ছাপানোর খরচ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি হিন্দি হাই স্কুল-এর একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার মহকুমা শাসকের দফতরে বৈঠক ডাকা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০২:১০
Share:

অস্থায়ী শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন না। মিড ডে মিল বন্ধ। স্কুলের অ্যাকাউন্ট থেকে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার খাতা, প্রশ্নপত্র ছাপানোর খরচ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি হিন্দি হাই স্কুল-এর একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার মহকুমা শাসকের দফতরে বৈঠক ডাকা হয়। স্কুল পরিদর্শকের প্রতিনিধি, মহকুমাশাসকের দফতরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, অভিভাবক মঞ্চের প্রতিনিধি, স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে ডাকা হয়েছিল। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক ভগবতী প্রসাদ ডালমিয়া ছিলেন না। সম্পাদকই এক সদস্যের ওই স্কুল পরিচালন সমিতি একমাত্র কর্মকর্তা। তিনি না যাওয়ায় আলোচনা অসমাপ্ত থেকে গিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা, অভিভাবক মঞ্চের সদস্যরা পরিচালন সমিতির সম্পাদক ভগবতীবাবুর বিরুদ্ধে স্কুল চালাতে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষকদের বেতন বা স্কুলের খরচ তিনি তহবিল থেকে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় ছাত্ররা যে ফি দিয়েছিল সেই বাবদ ২ লক্ষাধিক টাকা তহবিলে থাকলেও স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তা খরচ করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

Advertisement

ভগবতীবাবু বলেন, “আত্মীয়ের মৃত্যুর জন্য এ দিন বৈঠকে যেতে পারিনি। তবে পদে থাকা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। তার পরে উনি কী ভাবে কাজ করছেন।” ভগবতীবাবুর দাবি, অস্থায়ী শিক্ষকেরা স্কুলের নিয়ম মানছেন না। তাই তাঁদের বেতন বন্ধ। গ্রান্থাগার, বিদ্যুৎ বিল-সহ বিভিন্ন খাতে ছাত্রদের কাছ থেকে এখনও ফি মেলেনি। তহবিলের টাকা খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার দাস জানান, এ দিনের বৈঠকে স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক না-আসায় আলোচনা অসমাপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, “ফের তাঁকে ডাকা হবে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বৈশাখী দাস জানান, স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদকের মামলা নিয়ে আদালতের কোনও নির্দেশ আসার আগেই পাল্টা মামলা করা হয়েছে। তা ছাড়া স্কুল পরিদর্শকই গত ৯ এপ্রিল তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপন ভট্টাচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ ভাবে দিনের পর দিন চলতে পারে না। এক সদস্যের পরিচালন কমিটি গড়ে ভাগবতী প্রসাদবাবু যা খুশি করছেন। ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত। স্কুলে ঠিক মতো পড়াশেনা হচ্ছে না। মিড ডে মিল কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলনে নামা হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement