নির্যাতিতা হাসনা বানু। নিজস্ব চিত্র।
দেড় বছর বয়সী মেয়ে-সহ এক বধূকে শ্বশুরবাড়িতে থেকে করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ পদক্ষেপ না করায় থানার সামনে সন্তানকে নিয়ে ধর্নায় বসেন গৃহবধূ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি থানায়। রাত ৯টা অবধি তিনি থানায় ছিলেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে বাড়ি ফেরেন। ধূপগুড়ির আইসি যুগল চন্দ্র বিশ্বাসের কথায়, “ওই বধূর অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করেছেন।”
পুলিশ জানায়, হাসনা বানু নামে ওই বধূর সঙ্গে ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এক মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে রাজস্থানে আজমির শরিফে গিয়ে বিয়ে করেন। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে এলেও শ্বশুরমশাই মেনে নিতে চাননি। পেশায় শিক্ষক শ্বশুর ৫ লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার শুরু করেন। বছরর দুই আগে তাঁর মেয়ে হয়। এতে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। স্বামীও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাল মেলাতে থাকেন।
১১মে শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোম থেকে গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার করিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়ি পৌঁছলে শ্বশুরমশাই ও স্বামী তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা রাজি হননি। ১৪ মে ধূপগুড়ি থানায় স্বামী, শ্বশুর-সহ মোট ১৭ জনের নামে অভিযোগ করেন।
ওই বধূর কথায়, “স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠিকঠাক হয়েছে। সে কারণে সন্তান সহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পুলিশ অভিযোগ জানানোর পর কিছু করেনি। তাই ধর্নায় বসি।” পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা পলাতক।