ডালখোলা শ্রীঅগ্রসেন কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল কলেজের একাংশ ছাত্রছাত্রী ও প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ডালখোলা কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। কলেজ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ডালখোলা শ্রীঅগ্রসেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়িতা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল ডালখোলা কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্যরা। কলেজে তৈরি হয় অচলাবস্থা। তা খতিয়ে দেখতে এ দিন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল ডালখোলা কলেজে আসেন। এ দিনই কলেজ পরিচালন সমিতির সদ্যরা কলেজে অধ্যক্ষের পদে নিযোগ করেন কলেজের অন্য এক শিক্ষিকা জয়িতা বসুকে।
পরিচালন সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, অধ্যক্ষা নিজের মর্জিমাফিক কাজ করেন। পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনাই করেন না। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে প্রতিনিধি দল এলেও তাঁরা কেউই কলেজ পরিচালন সমিতির সঙ্গে দেখা করেনি। এমনকী পরিচালন সমিতির দ্বারা নিযুক্ত নতুন অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখাও করেননি। এর পর কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দলকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি রাজেন্দ্র মাসকারা বলেন, “এ দিন আমরা নতুন সমস্ত নিয়ম মেনে ভারপ্রাপ্ত এক অধ্যক্ষকে নিযুক্ত করেছি। তাও আমাদের সঙ্গে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও আলোচনাই করেননি। আর ভোটের বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে এই নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষা জয়িতা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজের অচলাবস্থা দেখার জন্য এই কলেজে এসেছিলেন। পরিচালন সমিতি সদস্যরা অবৈধ ভাবে আমাকে সরিয়ে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ করতে চাইছে। এর জন্য ওঁরা বহিরাগতদেরও সাহায্য নিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “আমার উপরে বহিরাগতদের দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলে থাকা এক জন আধিকারিক অপূর্ব চক্রবর্তী শুধু বলেছেন, “আমরা সব কিছু নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেব। আর ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেখানে নতুন করে কাউকে নিয়োগ করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবই খতিয়ে দেখবেন।”