মাত্র দেড় বছরেই অথৈজলে প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রকল্প। ট্রাফিক ব্যবস্থায় গতি আনতে ২০১২-র শেষ নাগাদ আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল ইসলামপুর শহরে। নজরদারির জন্য বসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের টাকায় এই প্রকল্পের কাজ হলেও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার ষ্পষ্ট হয়নি তা। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বর্তমানে ভেঙে পড়েছে গোটা ব্যবস্থা।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর প্রায় এক কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ করে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে গুঞ্জরিয়া-সহ ইসলামপুর শহরের আটটি পয়েন্টে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করে। একটা বাদে সাতটা সিগন্যালই বসানো হয়েছিল ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারির জন্য বসানো হয়েছিল ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। এই একই প্রকল্পে ৬৪টা বাতিস্তম্ভও বসানো হয়েছিল শহরের নানা প্রান্তে। বছর ঘুরতেই বিপত্তি। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাব আস্তে আস্তে শিকেয় ওঠে গোটা ব্যবস্থা। কোথাও ট্রাকের ধাক্কায় ট্রাফিক সিগন্যালের খুঁটি ভেঙে পড়ে, কোথাও বাতি নিভে যায় সিগন্যালের। কোনও মতে খুঁড়িয়ে চললেও প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে পুরোপুরি স্তব্ধ গোটা ব্যবস্থা। ৬৪টা বাতিস্তম্ভের অধিকাংশেও আলো জ্বলে না আর। সিসি ক্যামেরারও একই হাল। ইসলামপুর থানা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সিসিটিভিতে নজরদারির যে কম্পিউটার বসানো ছিল তাও বিকল বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইসলামপুর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা ও পথবাতির ব্যবস্থা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর করেছিল। সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সেগুলি সব খারাপ হয়ে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে বিষয়টি জানানো হবে।” এ দিকে এই গোটা বিষয়টা তাঁর নজরে আসেনি বলে জানান ইসলামপুরের মহকুমাশাসক নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস। তবে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সিগন্যাল ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখন ট্রাফিক পুলিশের হাত দেখানো ব্যবস্থাতেই ফিরে গিয়েছে ইসলামপুর।
হামলা। কর্ত্যবরত এক সিভিক পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে এক দল যুবক। বৃহস্পতিবার ইসলামপুরের ডিমঠি পারগাছিতে ঘটনাটি ঘটে। এ দিন ডিমঠিতে ডিউটিতে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গির আবেদিন নামে এক জন সিভিক পুলিশ। সেই সময় তার উপর ৪-৫ জন যুবক হামলা করে বলে অভিযোগ। তা দেখতে পেয়ে অন্য রা ছুটে গেলে যুবকেরা পালিয়ে যায়।