সম্ভাবনা: ভোরের আলো প্রকল্প এলাকা। নিজস্ব চিত্র।
করোনা আবহের রাজ্যের সবচেয়ে বড় ‘ওয়েলনেস সেন্টার’ তৈরি হতে চলেছে শিলিগুড়ি লাগোয়া গজলডেবার ভোরের আলোয়। পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভোরের আলোয় কেন্দ্রটির জন্য দুই একরের মতো জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরি হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞ বাস্তুকার নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারের তরফে আপাতত আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। কেরল, গোয়া বা হিমাচল প্রদেশের মতো কিছু রাজ্যে এমন ওয়েলনেস সেন্টার রয়েছে। সেখানে ঘরভাড়া নিয়ে থেকে বা বাইরে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে শরীর-মনকে সুস্থ এবং তাজা করে তোলার জন্য নানা চিকিৎসা বা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এমনই ধাঁচে গজলডোবাতে কেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে।
রাজ্য পর্যটন দফতরের শিলিগুড়়ির আঞ্চলিক দফতরের তরফে কাজের তদারকি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। নকশা, নথিপত্র, টেন্ডার করা নিয়ে কাজ চলছে। দফতরের এক যুগ্নসচিবের কথায়, ‘‘করোনারকালে বহু মানুষ শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার অনেকে জীবনের নানা সময়ে একই সমস্যায় পড়ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে ওষুধ, যোগব্যায়াম বা নানা পদ্ধতি নিচ্ছেন সুস্থ হতে। এ বার সরকারি ব্যবস্থায় একই ছাতার তলায় আনা হচ্ছে ওয়েলনেস সেন্টার।’’
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে মেডিটেশন সেন্টার, হিলিং সেন্টার, আধুনিক স্পা, স্টিম ও সওনা বাথ, কাউন্সেলিং রুম, কাফেটেরিয়া, ক্লক রুম, পার্কিং এলাকা তৈরি হচ্ছে। পরের ধাপে সুইমিং পুল, সুবিশাল জিমের কাজ শুরু হবে। ভোরের আলোর সরকারি কটেজগুলির পাশেই কেন্দ্রটি তৈরি হবে। এর আরেক পাশেই তৈরি হচ্ছে বিরাট ফুড কোর্ট। যেখানে বিভিন্ন সংস্থার রেস্তরাঁর মতো ব্যবস্থা থাকবে। দফতরের কর্তারা জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে শিলিগুড়িতে বা কলকাতা-সহ অন্যত্র তারাখচিত হোটেল রয়েছে। সেখানে জিম, স্পা বা যোগ সেন্টার থাকে। কিন্তু ভোরের আলোয় রীতিমতো প্রশিক্ষিত কর্মী, প্রশিক্ষক বা চিকিৎসক থাকবেন।
পর্যটন সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সচিব সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, ‘‘হেলথ ট্যুরিজম গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। আমাদের দেশে আসা বিদেশিরা যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, হিলিং খুব পছন্দ করেন। এ সব দেশের পর্যকটকদের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। আমাদের রাজ্যের প্রথম এমন কেন্দ্র শিলিগুড়িতে হচ্ছে, এটা আনন্দের।’’