মেয়রের কাছে বিক্ষোভে তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। — নিজস্ব চিত্র
জানানো হয়েছিল, ৩৬ ঘণ্টা ধরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তিন দিন পার হতে চললেও স্বাভাবিক হল না শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সরবরাহ। সরবরাহ যে ব্যাহত হবে তা যথাযথভাবে শহরবাসীকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কাউন্সিলররা মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
এশিয়ান হাইওয়ে তৈরির জন্য ফুলবাড়ি এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ চলছে। ওই পথেই ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ হয় শহরের বিভিন্ন রিজার্ভারে। পাইপ লাইনের দেখভাল করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। সড়ক সম্প্রসারণের জন্য পাইপ লাইন সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর এবং শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে না বলে জানিয়ে পুরসভা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার এবং শনিবারও জল মেলেনি।
শান্তিনগরের বাসিন্দা মনোজ দত্ত বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ৬০ টাকা দিয়ে ৫ লিটার জল কিনি। একদিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন জল কেনার সাধ্য নেই। তাই কুয়োর জল খেতে বাধ্য হচ্ছি।’’ মেয়র বলেন, ‘‘দুর্ভোগের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে যোগাযোগ রাখছি। দ্রুত কাজ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
এ দিন তর্কাতর্কিও বেধে যায় মেয়র এবং বিরোধীদের। বিরোধী দলনেতা নান্টু পালের অভিযোগ, ‘‘কয়েকটি সংবাদপত্রে ক্ষুদ্র বিজ্ঞাপন দিয়ে দায় এড়ানো যায় না। সারা শহরে প্রচার করা উচিত ছিল। পুরসভাও আগে থেকে অতিরিক্ত জল মজুত করে রাখতে পারত।’’ কাউন্সিলর কৃষ্ণ পালের কটাক্ষ, ‘‘ব্যবসায়ীদের মুনাফা করার সুযোগ করে দিতেই অশোকবাবুরা আগেভাগে প্রচার করেননি।’’ অশোকবাবুর পাল্টা, ‘‘ব্যবসাটা বিরোধীরাই ভাল বোঝেন, তাই এমন চিন্তা করতে পারেন।’’
এ দিকে, মেরামতির সময় শনিবার ফের একটি পাইপ লাইন ফেটে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তার জেরে এ দিনও নির্জলাই থাকল শিলিগুড়ি পুর এলাকা। আজ, রবিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না নিয়ে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।