দেশে সেরার তকমা আপার বাগডোগরার

মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্প বা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দেশের সেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিরোপা পেল শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির ব্লকের আপার বাগডোগরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্প বা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দেশের সেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিরোপা পেল শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির ব্লকের আপার বাগডোগরা। সার্বিক কাজের বিচারে দেশের মোট ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে সেরার শিরোপা দিয়েছে কেন্দ্র। তাদের মধ্যে রাজ্যের একমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত হিসাবে আপার বাগডোগরা স্থান পেয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেকথা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের বিচারে একশো দিনের কাজে রাজ্যস্তরে যুগ্মভাবে দেশের সেরা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ। দেশের সেরা ১৮ জেলার মধ্যে রয়েছে কোচবিহার ও পূর্ব বর্ধমান। ১১ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। সেরা হওয়ার খবরে খুশি কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাঞ্চন কুশওয়া। তিনি বলেন, ‘‘সকলের চেষ্টায় সাফল্য এসেছে। এই পুরস্কার আমাদের আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’’ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার বলেন, ‘‘নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তার মধ্যেও সার্বিক সাফল্যে আমরা খুশি। তবে সরকার আরও বেশি সাহায্য করলে আমরা অনেক ভাল কাজ করতে পারব।’’

Advertisement

একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দার্জলিং জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অনাবিল দত্ত জানিয়েছেন ২০১৭-২০১৮ আর্থিক বর্ষে আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত আবেদনকারীদের গড়ে ৮৯.৯৩ দিন কাজ দিতে পেরেছে। এরমধ্যে ৩৮২টি পরিবারকে ১০০ দিন কাজ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে ৯৩ শতাংশের বেশি মহিলা শ্রমিক ছিলেন। এছাড়া কাজের গুনগত মানও বিচার্য বিষয়ের অন্যতম ছিল। গত বছর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের অগ্রগতি দেখেন। সেই সময়ও পঞ্চায়েতের কাজের প্রশংসা করেছিলেন প্রতিনিধিরা। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জু মহন্ত বলেন, ‘‘সেচ ক্যানাল তৈরি, বৃক্ষরোপন, পুকুর খনন, রাস্তা তৈরি সহ বেশকিছু উল্লেখযোগ্য কাজ কর হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ আর্থিক বর্ষে আমরা ৮৮ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার কাজ করেছি।’’

সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চারটি বড় চা বাগান রয়েছে। ওই এলাকার মহকুমা পরিষদের সদস্য তৃণমূলের শর্মিষ্ঠা রায় বলেন, ‘‘চা বাগান এলাকায় উল্লেখ করার মত কোনও কাজ হয়নি। তাও কীভাবে পুরস্কার পেল তা বুঝতে পারছি না।’’ যদিও তার বক্তব্যকে ‘নিছকই সমালোচনা’ বলে মনে করছেন আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। নকশালবাড়ির বিডিও বাপি ধর বলেন, ‘‘খুবই খুশির খবর। সমস্ত জনপ্রতিনিধি, কর্মী, আধিকারিকদের কাজের সুফল ওই পুরষ্কার। আমাদের মনোবল আরো বাড়ল। ওই পঞ্চায়েতের প্রতিটি প্রকল্পের কাজই প্রশংসিত হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement