মমতার নির্দেশে সজাগ শহরের ট্রাফিক

গাড়ি চালকদের হেনস্থা করা এবং তাঁদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তায় নেমে ‘সেফ ড্রাইভ-সেফ লাইফ’-এর জোর প্রচার শুরু করে দিল শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০২:০০
Share:

গাড়ি চালকদের হেনস্থা করা এবং তাঁদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তায় নেমে ‘সেফ ড্রাইভ-সেফ লাইফ’-এর জোর প্রচার শুরু করে দিল শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩১ নম্বর এবং ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে রীতিমত মাইক নিয়ে প্রচার অভিযান শুরু হয়। চালকদের ডেকে অতিরিক্ত জোরে গাড়ি চালানো ও নিয়ম ভেঙে আরোহী নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি না চালানোর জন্যেও বোঝানো হয়। সকাল থেকে শহিদনগর এবং পিনটেল ভিলেজ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের প্রচার চলে। রাতে গোঁসাইপুর এবং ফুলবাড়ি এলাকাতেও একই প্রচার করা হয়।

গত বুধবারই পিনটেল ভিলেজের প্রশাসনিক বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী ট্রাফিক পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর কাছে পৌঁছানো অভিযোগপত্রটি দেখিয়ে উচ্চ পদস্থ কর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। ট্রাফিক পুলিশের কাজকর্মকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি ‘সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ’ প্রচারেও গুরুত্ব দেন।

Advertisement

পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি গাড়ি চালকদের একাংশ ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নবান্নে পাঠান। ভক্তিনগর থানার শালুগাড়া, চেকপোস্ট এবং দুই মাইল এলাকায় জাতীয় সড়কে প্রতিদিন নথিপত্র পরীক্ষার নামে ট্রাফিক পুলিশ হেনস্থা করছেন বলে জানানো হয়। শুধু তাই নয়, গাড়ির নথিপত্র কোনও গরমিল থাকলে মোটা টাকায় রফা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘কি‌ছু অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement