প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়ি থেকে নেপালের কাঠমান্ডু পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু করতে চলেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। এনবিএসটিসি সূত্রে খবর একটি এজেন্সিকে দিয়ে এই পরিষেবা চালানো হবে। দীর্ঘ দিন ধরে শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু রুটে বাস চালানোর ব্যপারে দু’দেশের আধিকারিকদের মধ্যে কথা চলেছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ দত্ত বলেন, ‘‘দ্রুত শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু রুটে বাস চালু হবে।’’
প্রায় তিন মাস আগে নেপালের একটি এজেন্সি কাঠমান্ডু থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত পর্যটকদের বাস চালু করেছিল। তাতে ভিড় বাড়ছে বলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের একটি অংশের দাবি। কিন্তু ওই বাসটি তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে ঢোকে না। ভিড়ের বিষয়টি জানান পরেই নড়েচড়ে বসেন এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ। তারা দ্রুত আলোচনা করে বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মত কর্তৃপক্ষ একটি এজেন্সিকে ঠিক করেছে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে কাঠমান্ডুর বাস চালু হতে পারে।
এনবিএসটিসির এক আধিকারিক জানান, আপাতত একটি বাস চালু হওয়ার কথা। শিলিগুড়ি থেকে বিকেলের পরে বাস ছাড়বে আর কাঠমান্ডু পৌঁছবে পরেরদিন সকালে। শিলিগুড়ি, পানিট্যাঙ্কি হয়ে কাকরভিটা দিয়ে কাঠমান্ডু যাবে বাসটি। আপাতত ঠিক হয়েছে ভাড়া হবে ১৩৬০ টাকা। কাঠমান্ডু থেকেও একটি বাস ছাড়ার কথা রয়েছে। এনবিএসটিসির বাসটি যেমন কাঠমান্ডু বাস টার্মিনাসে ঢুকতে পারবে তেমনি সেখানকার বাসটিও তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে ঢুকবে। দু’টি বাস চলায় প্রত্যেকদিন শিলিগুড়ি এবং কাঠমান্ডু থেকে ওই রুটে বাস পাওয়া যাবে।
ভারত-নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর আলোচনা হচ্ছিল বেশ কিছুদিন থেকে। ২-৩ মাস আগে চালু হলেও এখন তা চলছে না। ওই বাসটির ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে কাঠমান্ডু যাওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা রুটে বেসরকারি বাস চলে। একটি বাস শিলিগুড়ি থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চ্যাংড়াবান্ধা পর্যন্ত যায়। ওপার থেকে অন্য একটি বাস ঢাকা পর্যন্ত যায়। শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু রুটে বাস চালু থাকলে নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। শিলিগুড়ির একটি বাস এজেন্সির সংগঠনের পক্ষ থেকে সন্তোষ সাহা বলেন, ‘‘পরিষেবা সচল থাকলে পর্যটকরা ভরসা পাবেন। বাড়বে ব্যবসাও।’’