চোপড়ায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। সোমবার পুলিশের সঙ্গে প্রায় লুকোচুরি খেলে নিহতের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দল।
সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় চোপড়ায় পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা সহ জেলা বিজেপির প্রতিনিধিরা।
চোপড়া দলীয় কার্যালয় থেকে নিহত অরেন সিংহের (৩০) বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় ওই প্রতিনিধি দলের পথ আটকায় পুলিশ। ইসলামপুরের এসডিপিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাধা পেয়ে প্রতিনিধিরা অন্য রাস্তায় চলে যান। সেখানেও পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। পরে ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছোন তাঁরা।
প্রতাপবাবু বলেন, ‘‘এলাকাতে উত্তেজনা রয়েছে বলে পুলিশ ঢুকতে বাধা দিচ্ছিল। নিহতের পরিবারের লোকেদের পাশে দাঁড়াতেই এসেছিলাম। তৃণমূল সরকারের পক্ষেই এটা সম্ভব।’’ অরেন সিংহের খুনিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত জেলা জুড়েই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান রাজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠক করার সময় বিজেপির কর্মীদের উপর গুলি ও বোমা নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অরেন সিংহের। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হল মহম্মদ নাফির ও মহম্মদ জামাল। তাদের বাড়ি চোপড়া থানার মৌলানি ও মধুভিটা এলাকায়। তাঁদের পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিন দু’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
সোমবার চোপড়ায় দলের পার্টি অফিসে বিজেপি কর্মীরা হামলা করেছেন অভিযোগ তুলে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি জাকির আবেদিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল।