সেতু-রাস্তা নেই, বিপাকে কলসি

শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলসিতে যান মেখলিগঞ্জের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেতু সম্প্রসারণ, রাস্তা তৈরি মিলিয়ে ওই কাজে অন্তত ৪৫ লক্ষ টাকা দরকার বলে প্রাথমিক সমীক্ষার পর রিপোর্ট মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৬
Share:

পরিদর্শন: মেখলিগঞ্জে ভাঙা সেতু দেখছেন বিডিও। —নিজস্ব চিত্র।

জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সংযোগকারী রাস্তা। বেড়ে গিয়েছে সানিয়াজান নদীর খাত। ফলে পাকা সেতুর শেষ সীমানা এখন জলের মাঝে। স্বাভাবিক ভাবে যোগাযোগ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মেখলিগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্তের কলসি গ্রামের বাসিন্দারা। প্রায় আড়াই মাস ধরে ওই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তাঁরা। যানবাহন নিয়ে চলাচল শিকেয় উঠেছে। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামলাতে বন্যার পরেই জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত সেতু সম্প্রসারণের পাশাপাশি সংযোগকারী রাস্তা তৈরি প্রয়োজন। তা ছাড়া সীমান্তে বিএসএফের নজরদারিতেও সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলসিতে যান মেখলিগঞ্জের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেতু সম্প্রসারণ, রাস্তা তৈরি মিলিয়ে ওই কাজে অন্তত ৪৫ লক্ষ টাকা দরকার বলে প্রাথমিক সমীক্ষার পর রিপোর্ট মিলেছে। চূড়ান্ত সমীক্ষার পরে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নজরে আনা হবে। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “বিডিও, ইঞ্জিনিয়ার এলাকায় গিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতের ওই গ্রামে তিন শতাধিক লোকের বসবাস। কাঁটাতারের বেড়ার ওপারের গ্রামটিতে ঢুকতে হয় বিএসএফের নজরদারিতে থাকা গেট পেরিয়ে। নথিভুক্ত করতে হয় নাম, ঠিকানা, পরিচয়পত্রের বিবরণ। গেট পেরোলে গ্রামে ঢোকার মুখেই সানিয়াযান নদী।

Advertisement

ওই নদীর ওপর পাকা সেতু, সংযোগকারী রাস্তাও তৈরি হয়েছিল। অগস্টের মাঝামাঝি বন্যার তোড়ে মাটির রাস্তা ভেসে যায়, খাত বেড়ে যাওয়ায় সেতু ‘ছোট’ হয়েছে। বিরূপাক্ষবাবু বলেন, “নদী খাতের প্রস্থ ছিল প্রায় ১০ মিটার। রাস্তা ভেসে পুরো নদী হয়ে গিয়েছে। ফলে সেতুর আয়তন আরও ১২ মিটার বাড়াতে হবে। তা ছাড়া গ্রামের সীমানা পেরোলেই বাংলাদেশের রংপুর জেলার পানবাড়ি। বিএসএফের নজরদারি, নিরাপত্তার জন্য এটা বেশি জরুরি। সাময়িক কাজ চালাতে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে সাঁকো করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাব।”

বাসিন্দারা জানান, কাঁটাতারের ওপারে থাকা গ্রামটিতে চিকিৎসার পরিকাঠামোও তেমন কিছু নেই। বেহাল রাস্তাঘাট নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। সানিয়াযানের খাত বেড়ে যাওয়ায় তাদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। কিন্তু গ্রামের নাম কলসি কেন? প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘গ্রামের মানচিত্রটা একেবারে মাটির কলসির মত। সব মিলিয়ে প্রায় ৬৯ একর জমি আছে। কলসির মুখে যেমন ঢাকনা থাকে গেটটা তেমন ভাবে রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement