KLO

জীবন-ভিডিয়ো নিয়ে তদন্তে সাইবার সেল

২ মে ভোটের ফল প্রকাশ হয়। তার পর থেকেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক করা নিয়ে সমাজ মাধ্যমের একাংশে প্রচার শুরু হয়।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী এবং নমিতেশ ঘোষ

শিলিগুড়ি ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২১ ০৬:৪৮
Share:

নতুন ভিডিয়োয় জীবন সিংহ।

উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে ইন্ধন দিতে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও-র মত সংগঠনকে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা দেখার কাজ শুরু করল রাজ্য পুলিশ। উত্তরবঙ্গে নতুন করে অশান্তি, অস্থিরতা তৈরিতে কোনও প্রকার মদত দেওয়া হচ্ছে কি না, তা-ও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। বিশেষ করে, দীর্ঘদিন অজ্ঞাতবাসে (পুলিশ বলছে মায়ানমারে) থাকা কেএলও প্রধান জীবন সিংহ সম্প্রতি দু’টি ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়ার পরে প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। প্রশাসনের শীর্ষমহল থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগের মতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি হতে দেওয়া যাবে না।

Advertisement

২ মে ভোটের ফল প্রকাশ হয়। তার পর থেকেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক করা নিয়ে সমাজ মাধ্যমের একাংশে প্রচার শুরু হয়। সম্প্রতি বিজেপির সাংসদ জন বার্লাও জানান, এই দাবি তিনি সংসদে তুলবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও রকম ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ করতে দেবেন না। এমন সময়ই কেএলও প্রধান জীবন সিংহের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যেখানে ফের নতুন করে ‘কামতাপুর’ রাজ্যের দাবি উস্কে দেওয়া হয়েছে। এই ভিডিয়োয় জীবন দাবি করেন, গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকার মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে। প্রয়োজনে আক্রমণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ওই ভিডিয়োয়ের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা।

ভিডিয়োটি নিয়ে তদন্তে নেমেছে রাজ্য পুলিশের সাইবার সেল, জানিয়েছেন কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার কে কান্নন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভিডিয়ো কোথা থেকে কারা প্রথমে প্রকাশ করল, তা জানার চেষ্টা চলেছে। ভিডিয়ো প্রকাশের পরে আলাদা রাজ্যের বিরোধিতায় এবারে সরাসরি মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী দলের রাজবংশী সম্প্রদায়ের নেতাদের সামনে রেখে ওই দাবির বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ভোটে হেরে যাওয়ার পরে বিজেপি আলাদা রাজ্যের ধুয়ো তুলে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছি।’’ যদিও বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নেতৃত্ব আলাদা রাজ্যের কথা বলেননি। আর কে কোথায় কী ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে, জানা নেই।’’

Advertisement

বিজেপির রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী থেকে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, কেউই মন্তব্য করতে চাননি। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘দলে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জন বার্লার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত মত।’’ তবে বার্লার পক্ষ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, সাংসদ কখনও উত্তরবঙ্গকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা বলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement