Dead Body

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর দেহ উদ্ধার রাস্তার পাশে

মৃত ব্যক্তি প্রসেনজিত ঘোষ (২৮) বেলাকোবার বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কয়েকদিন আগে রোগীকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বাড়ির লোক। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন। রবিবার সকালে সেই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল হাসপাতাল থেকে বেশ কিছুটা দূরে জাতীয় সড়কের পাশে। এই ঘটনায় হাসপাতালের দিকে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃত ব্যক্তির পরিবার। প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।

Advertisement

মৃত ব্যক্তি প্রসেনজিত ঘোষ (২৮) বেলাকোবার বাসিন্দা। এ দিন সকালে হাসপাতালে থেকে দুই কিমি দূরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। খালি গায়ে ছিলেন তিনি। হাতে লাগান ছিল

স্যালাইনের চ্যানেল। স্থানীয়রা দেহ দেখতে পেয়ে খবর দেয় পুলিশকে। প্রসেনজিতের পরিবারের দাবি, হাসপাতাল থেকে কোনওরকম চাপ দেওয়ার কারণেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাতেই ব্যক্তি হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাতে যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর রাতে আগুন পোহাতে গিয়ে পুড়ে গিয়েছিলেন পেশায় দিনমজুর প্রসেনজিত। ওই রাতেই বেলাকোবার সর্দার পাড়া থেকে তাঁকে নিয়ে এসে ভর্তি করানো হয় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের ছ’তলার ‘বার্ন ওয়ার্ড’-এ চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতেও প্রসেনজিতের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। রাতের খাবার খাইয়ে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। প্রসেনজিত চলাফেরা ও কথা বলতে পারছিলেন বলে জানান তাঁরা।

পরিবারের প্রশ্ন, হঠাৎ এমন কী হল যে প্রসেনজিত হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। রবিবার সকালে পুলিশের কাছ থেকে প্রসেনজিতের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাড়ির লোকেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীকে খুঁজে না পাওয়ায় রাতেই পুলিশকে জানান হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির লোককে কেন জানান হল না সেই প্রশ্ন তুলেছে প্রসেনজিতের পরিবার।

মৃতের দাদা সোমনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘দশতলা হাসপাতালের ছ’তলায় ভর্তি ছিল ভাই। সেখান থেকে কী করে রক্ষীদের নজর এড়িয়ে বাইরে গেল? হাসপাতাল থেকে কোনও চাপ দেওয়া হয়েছিল। নিখোঁজ হলেও আমাদের খবর দেওয়া হয়নি। তিনটে মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল হাসপাতালে। কোনও ফোন করা হয়নি। আজ সকালে পুলিশ মৃত্যুসংবাদ দিয়েছে। থানায় অভিযোগ করব।’’

ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রুদ্র কুমার ঈশ্বরারী বলেন, ‘‘ওই রোগীর হাসপাতালের বাইরে যাবার কথা নয়। কিন্তু ঘটনা যখন ঘটেছে তাতে প্রমাণিত হচ্ছে নজরদারির অভাব রয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনায় জন্য দায়ী থাকবেন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement