বোমা ফেটে জখম শ্রমিক

বোমা ফেটে জখম হলেন এক নির্মাণ শ্রমিক। মালদহ জেলার মোথাবাড়ি ফাঁড়ির বিনটোলার পাঁচকুড়ি গ্রামে সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৫ ০১:৫৯
Share:

জখম বেলাল শেখ। —নিজস্ব চিত্র।

বোমা ফেটে জখম হলেন এক নির্মাণ শ্রমিক। মালদহ জেলার মোথাবাড়ি ফাঁড়ির বিনটোলার পাঁচকুড়ি গ্রামে সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আহতের নাম বেলাল শেখ। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর গ্রামে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বোমা তৈরি করতে গিয়েই ওই ব্যক্তি জখম হয়েছে। বেশ কিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কী কারনে বোমা বাঁধা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

কালিয়াচক ২ ব্লকের বাঙিটোলা গ্রামপঞ্চায়েতের বিনটোলার পাঁচকুড়ি গ্রামে গঙ্গা নদীর ধারে আম বাগানের মধ্যে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ২টা নাগাদ হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজন, এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখে তাকে বাঙিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। বেলাল শেখের দুই হাতের আঙুল এবং ডান পায়ের অধিকাংশ আঙুল উড়ে গিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বেলাল নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর চার ছেলে মেয়ে রয়েছে। তাঁর স্ত্রী বেবি বিবি বলেন, ‘‘এদিন সকালে কাজে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বার হয়। পরে শুনি, পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে। এর বেশি আমি কিছু জানি না। তবে আমার স্বামী বোমা বাঁধার কাজে সঙ্গে যু্ক্ত নন।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে খান দশেক মতো প্লাস্টিকের বল, পাথর, সেলোটেপ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশের সন্দেহ, বোমা বানানোর সঙ্গে আরও পাঁচ থেকে ছয়জন যুক্ত থাকতে পারে। কারণ, একার পক্ষে বোমা তৈরি করা সম্ভব নয়। বাকিদের আঘাত গুরুতর না থাকায় তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের চন্দনা মন্ডল। তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গা নদীর ওপারে ঝাড়খণ্ড। ওপারের দুষ্কৃতীরা ও এ পারের দুষ্কৃতীরা মিলে নানান অসামাজিক কাজকর্ম চালায়। এই বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সক্রিয় নয়। আহত ব্যক্তি, এলাকার নন বলেও শুনেছি।’’ আর মোথাবাড়ির কংগ্রেসের বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই উদ্বেগজনক। পুলিশকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement