কোথাও স্কুল ছুটি হওয়ার সময়ের কিছু আগে থেকেই স্কুলে যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে ছেলে ছোকরাদের ভিড়, আবার কোথাও স্কুল হওয়ার পরে ছাত্রীদের সামনে বাইক নিয়ে রোমিওদের দাপাদাপি।
শহরের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই রায়গঞ্জের গার্লস হাইস্কুল, মোহনবাটী পার্বতীদেবী বালিকা বিদ্যালয়, টেন ক্লাস গার্লস হাইস্কুল, রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবন, সুভাষগঞ্জের দু’টি হাইস্কুল, করোনেশন ও বিদ্যাচক্র হাইস্কুলের ছাত্রীদের একাংশ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে।
কুলিক পক্ষিনিবাস ও ইকোপার্কেও মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেউ অভিযোগ না জানালেও, গোয়েন্দা মারফত ইভটিজারদের দৌরাত্ম্যের কথা পুলিশের অজানা নয়।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, শহরে ইভটিজিং, ছিনতাই, মোটরবাইক চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধ রুখতে দিনভর সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি চালায়। পুলিশের চোখের সামনে ইভটিজিং হলে বা কেউ অভিযোগ জানালে গ্রেফতার করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হবে।
রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়, গার্লস হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষিকা সুপর্ণা দত্ত ও বিদ্যাচক্র হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক অভিজিৎ দত্তের বক্তব্য, ছাত্রী বা অভিভাবকেরা ইভটিজিং নিয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশ ও প্রশাসনকে স্কুলের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। অভিভাবক ও ছাত্রীদের বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অভিযোগ করুন।