পরিদর্শনে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
ফের মালদহ থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ মালদহের জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সভা করবেন তিনি। তাই রবিবার দুপুরে মাঠ পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।
মালদহ থেকেই তৃণমূল নেত্রীর প্রথম নির্বাচনী সভা হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসায় জেলার নেতানেত্রীদের মধ্যে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। কৃষ্ণেন্দুবাবু এ দিন বলেন, ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করবেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনই সকালে আমরা তা জানতে পেরেছি। প্রচারের প্রথমেই আমরা নেত্রীকে পেয়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই উপকার হবে। মালদহের পরে ১৪ মার্চ বাগডোগরা ও ১৫ মার্চ কার্শিয়াঙে সভা করার কথা তাঁর।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। ওই বছর বিধানসভা নির্বাচনেও মালদহ থেকে প্রথম প্রচার শুরু করেছিলেন মমতা। তিনি প্রথম সভা করেছিলেন হবিবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী মোহন টুডুর সমর্থনে। এ বারও দলনেত্রী সেই মালদহ থেকেই প্রচার শুরু করতে চলায় উচ্ছ্বসিত দলের কর্মী সমর্থকেরা।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ দুপুর ২টা নাগাদ মালদহের জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সভা করবেন তিনি। যা রাজ্যের মধ্যে এ বারের ভোটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সভা বলে দাবি দলের নেতৃত্বদের। সভায় থাকবেন জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরা। সেই সভা থেকেই দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে কর্মীদের পরিচিতি করাবেন তিনি।
দলীয় নেতার একাংশ জানান, বিধানসভা থেকে শুরু করে লোকসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই প্রচারে করতে বারবার মালদহে ছুটে এসেছেন মমতা। গত বিধানসভার মতো গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলার একাধিক স্থানে তিনি সভা করেছেন। গত লোকসভা নির্বাচনেও মালদহের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে সভা করেছিলেন তিনি। এমনকী এই জেলায় চারদিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে উত্তরের বিভিন্ন জেলাতেও প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী।
জেলার এক প্রথম সারির নেতা বলেন, ‘‘দলনেত্রী প্রচারে বারবার মালদহকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে জেলাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে অনেক সময়েই আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। তাই এ বার প্রথম সভা করে দ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা দিতে চাইছেন তিনি।’’ তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী প্রথম এই জেলা থেকে প্রচার শুরু করবেন। তা আমাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়। তাই আমরা প্রচারেও বাড়তি সুবিধে পাব।’’