বিজেপি কর্মীরা হেঁটে যাচ্ছেন থানায়। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অথচ, থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি নেই বলে অভিযোগ। যার জেরে গ্রেফতারের পরে বিজেপির একদল নেতা-কর্মীকে পায়ে হাঁটিয়েই থানায় নিয়ে যেতে বাধ্য হল পুলিশ। তার আগে অবশ্য পর্যাপ্ত গাড়ির প্রশ্নে পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়ান ওই বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনাই ঘটল আলিপুরদুয়ার শহরে।
রাফাল চুক্তি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার শহরে একটি মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। কিন্তু অভিযোগ, এই মিছিলের জন্য পুলিশের আগাম কোন অনুমতিই ছিল না। তা সত্ত্বেও এ দিন দুপুরে দমকল কেন্দ্রের কাছে দলের জেলা পার্টি অফিসের সামনে থেকে মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলে কয়েকশো নেতা-কর্মী যোগ দেন। মিছিলটি আলিপুরদুয়ার চৌপথী পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মাত্র দু’শো মিটার দূরে কোর্ট মোড় এলাকায় মিছিলটি আটকে দেয় আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। রাস্তায় বসে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ চলার পরে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতে শুরু করে। বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় সহ বিজেপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে সেখানেই থাকা একটি প্রিজন ভ্যান ও বাসে তোলে পুলিশ। বিজেপির কিছু নেতা-কর্মীকে ছোট গাড়িতেও তোলা হয়। কিন্তু অভিযোগ, আর গাড়ি না থাকায় প্রচুর বিজেপি নেতা-কর্মীকে রাস্তাতেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আর তাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশ। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়ে যায়।
এরপর ফের দু’টি বাস ও দু’টি ছোট গাড়ি ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে গ্রেফতার হওয়া বিজেপির নেতা-কর্মীদের সেগুলিতে তুলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু তার পরও বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীরই সেই বাস বা ছোট গাড়িগুলিতেও জায়গা হয়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে তাঁদের পায়ে হাঁটিয়েই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ মণ্ডল বলেন, ‘‘বাকিদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে আমাদের জন্য কোনও গাড়ি ছিল না। তাই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে থানায় যাই।’’
আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘‘জোর করে পথ অবরোধ করার জন্য এ দিন বিজেপির দেড়শো থেকে দু’শো নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ যদিও পর্যাপ্ত গাড়ির না থাকা নিয়ে অভিযোগের কোন উত্তর দিতে চাননি তিনি। তবে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, আসলে বিজেপির নেতা-কর্মীদের যে গ্রেফতার করতে হবে, আগাম সেটাই এদিন ভাবা যায়নি।