ক্ষতিগ্রস্ত আলুর ক্ষেত। —নিজস্ব চিত্র।
ধানক্ষেতের পর এবার আলুক্ষেতেও তান্ডব চালালো হাতির দল। ধূপগুড়ি ব্লকের নিরঞ্জনপাট এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ২০-২৫টি হাতির দল তান্ডব চালায়। যার ফলে প্রায় ৪ বিঘা জমির আলু নষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রোজ সন্ধ্যা নামতেই হাতির পাল জঙ্গল থেকে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। কৃষকের চাষের জমি, আবার কখনও ঘর,বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। লাগাতার এ ভাবে হাতির হানায় আতঙ্কে এলাকার কৃষকরা।
এদিকে, আলুর ক্ষেতে হাতির দলের তান্ডবে রীতিমতো অবাক পরিবেশপ্রেমীরা। হাতি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বড়ুয়া জানান, “হাতি সাধারণত আলু খায় না। যদি আলু খেয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে, বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে তাদের। খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রবাদ আছে ঠেলায় পরলে বাঘে ধান খায়, ঠিক তেমনই ঠেলায় পরেই আলু খেতে বাধ্য হচ্ছে। তবে আসামে হাতি আলুর ক্ষেতে হানা দেয় না বা আলু খাওয়ার ঘটনাও নেই, তাই চিন্তার বিষয় এটা।”
এদিকে, লাভের আশায় জমিতে আলু লাগিয়েছিলেন কৃষকরা। কিন্তু লাভের গুড় খেয়ে গেল হাতির দল। যার ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ বা চড়া সুদে সুদখোর মহাজনদের থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করা কৃষকেরা রীতিমতো চিন্তিত। স্থানীয় কৃষক পার্থ রায় জানান, “প্রায় ৪ বিঘা আলুর ফসল নষ্ট হয়েছে। ২০- ২৫টি হাতির একটি দল তান্ডব চালিয়েছে। এর আগে একই ভাবে ধানক্ষেতের ক্ষতি করেছিল হাতির দল। বার বার হাতির দলের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েছি আমরা। জমিতে তাহলে চাষ করে আর কী লাভ! বনদপ্তরকে জানানো হলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে আমাদের।”