হান চুনওয়েই নিজস্ব চিত্র।
চিনা নাগরিক হান চুনওয়েই কী ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করল তা নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। এর মধ্যে জেলা পুলিশ সোমবার বিকেলে মালদহের মিলিক সুলতানপুরের সীমান্তে হানকে নিয়ে গিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হানের ল্যাপটপ ও আইফোনের লক খোলা যায়নি। কারণ, সেগুলির পাসওয়ার্ড মান্দারিন ভাষায় করা আছে। পুলিশের দাবি, হান সহযোগিতা করছেন না। তাই পাসওয়ার্ড ভাঙতে কলকাতা থেকে বিশেষ সাইবার বিশেষজ্ঞকে জেলায় আনা হচ্ছ। হানের শরীরে চিপ লুকনো আছে কি না তা জানতে সিটি স্ক্যান করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তদন্তকারীরা মনে করছেন হান কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন। কারণ, জেরার সময় তাঁর কথায় যথেষ্ট অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। হানের বিরুদ্ধে সাইবার ও আর্থিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় হানের ব্যবসায়ী বন্ধু সান জিয়াং এবং আরও ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হান ও তার সঙ্গী অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে ভারতীয় সিম কার্ড চিনে পাচার করত বলে অভিযোগ। সেই সব সিম কার্ড কাজে লাগিয়েই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হত বলে লখনউ এটিএস ও বিএসএফ সূত্রের খবর।
কেবলমাত্র আর্থিক প্রতারণা নাকি হানের ভারতে আসার পিছনে রয়েছে আরও বড় কারণ? সেই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার তাঁকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ও ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রশান্ত দেবনাথ।