কলেজ নিয়ে দ্বন্দ্বে অবরোধ

দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “দুপুরের পরে অবরোধ উঠে যায়। আবেগের থেকে কিছু মানূষ এটা করেছিল। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটায় কলেজ নির্মাণ হবে বলে জানান। কিন্তু সেই কলেজ কোথায় হবে, তা নিয়ে বুধবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল দিনহাটায়।

Advertisement

মহকুমার বামনহাটে দলেরই স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে বাসিন্দাদের একটি অংশ বন্‌ধ ডেকে আন্দোলনে নামেন। অবরোধ করা হয় রাস্তাও। তাঁদের অভিযোগ, সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষা সাহেবগঞ্জের ভ্যাকরাপুলে কলেজ নির্মাণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই জায়গা নির্বাচন ঠিক নয়। বিরোধীদের অবশ্য বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এমন একটা বিষয়কে সামনে রেখে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “দুপুরের পরে অবরোধ উঠে যায়। আবেগের থেকে কিছু মানূষ এটা করেছিল। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, দিনহাটা মহকুমায় কলেজ নির্মাণের ব্যাপারে ২০১২ সালে সিতাই ও গোসানিমারি থেকে দু’টি প্রস্তাব উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। সিতাইয়ে কলেজ নির্মাণের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সেই কলেজ কবে থেকে চালু হবে তা নিয়ে এখনও সঠিক কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দিনহাটার বিধায়ক দাবি করেন, সেই ২০১২ সালেই দিনহাটা থেকেও প্রস্তাব পাঠানো হয়। এখনও পদ্ধতি মেনে জায়গা নির্বাচন সহ সমস্ত কাজ করে ফের তা উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠানো হবে। উদয়নবাবুকে চেয়ারম্যান করে একটি কলেজ নির্মাণ সমিতি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় ভ্যাকরাপুলে কলেজ নির্মাণ হবে। এর পরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বামনহাটে।

Advertisement

দুই জায়গার মধ্যে দূরত্ব চার কিলোমিটারের মতো। তবে সমস্যা কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভ্যাকরাপুলের ওই জায়গার পরিবেশ ভাল নয়। পাশেই কাঁটাতারের বেড়া, বিএসএফের ক্যাম্প। বামনহাটের বাসিন্দারা বলেন, “বামনহাট সব দিক থেকে ভাল জায়গা। ভাল পরিবেশ। আমাদের বঞ্চিত করা যায় না।” দীপকবাবু অবশ্য বলেন, “আবেগ থেকে সবাই এই দাবিতে আন্দোলন করেছে। বামনহাটের জমি অনেক নিচু। অনেকের নামে রয়েছে। সেখানে ভ্যাকরাপুলের জমি অনেক ভাল। ওই জায়গায় হলেও অসুবিধে হবে না।” বিধায়কেরও দাবি করেন, সবদিক থেকে ভ্যাকরাপুল ভাল জায়গা। সেখানে থানা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement