বাঁদর ধরতে জলদাপাড়া থেকে খাঁচা আনছে কোচবিহার বন দফতর। ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এক রেঞ্জ অফিসার-সহ কয়েকজন কর্মী জলদাপাড়ায় খাঁচা আনতে যান। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি এলাকা সংলগ্ন দিঘির পাড়ে ৩ ফুট উচ্চতা ও ৫ ফুট প্রস্থের ওই খাঁচাটি বসানো হবে। কোচবিহারের ডিএফও রথীন রায় বলেন, “খাঁচা আনার জন্য কর্মীরা জলদাপাড়ায় গিয়েছেন। বাঁদরের প্রিয় কলা ও বিভিন্ন রকম ফল ভেতরে রেখে সেটি বসানো হবে।”
বন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই কোচবিহার শহরের সুভাষপল্লি, গুঞ্জবাড়ি ও লাগোয়া এলাকায় বাঁদর ধরতে নজরদারি শুরু হয়েছে। বনকর্মীদের একটি দল সেখানে গিয়েছিলেন। গুঞ্জবাড়ি লাগোয়া পুকুর পাড়ের পাশে বিশাল কদম গাছের ডালে একটি বাঁদরকে দেখাও যায়। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে তাকে কাবু করার কথাও ভাবা হয়। তবে অনেক চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। উঁচু গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডালে দাঁত খিচিয়ে হুড়োহুড়ি করে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। তাই ফিরে আসতে বাধ্য হন বনকর্মীরা। তবে বাঁদরের দলকে দেখা গেলেই যাতে জানান হয় সে জন্য বাসিন্দাদের কাছে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন তারা। যদিও বিকেল পর্যন্ত বাসিন্দারা একটি বাঁদরকেও দেখেননি। তবে খোদ বনমন্ত্রীর জেলা শহরে বাঁদরের উপদ্রব নিয়ে ওঠা অভিযোগের জেরে কোন ঝুঁকি নিতে রাজি নন বনকর্তারা। সেজন্য জলদাপাড়া থেকে খাঁচা নিয়ে এসে গুঞ্জবাড়ি লাগোয়া দিঘির পাড়ে বসানর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। কোচবিহারের রেঞ্জ অফিসার সুরঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, ‘‘বাঁদর ধরতে সকালে চেষ্টা হয়েছিল। এ বার খাঁচা বসানো হচ্ছে।’’
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় একমাস ধরে শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একদল বাঁদর। গত এপ্রিলেও শহরের নতুন বাজার লাগোয়া এলাকায় বাঁদরের কামড়ে অন্তত ন’জন জখম হন। ফলে এ বার আতঙ্ক বেড়েছে অনেকের।