ছোলা আর স্কোয়াশই সম্বল মাদ্রাসায়

স্কুলের মিড ডে মিলে ছোলা, স্কোয়াশের তরকারি আর ভাত। শুক্রবার শিলিগুড়ির সামসিয়া উর্দু জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলে আড়াই শো পড়ুয়ার মিড ডে মিলে এটাই ছিল মেনু। কারণ টাকার অভাব।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৯
Share:

খাওয়াদাওয়া। — নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের মিড ডে মিলে ছোলা, স্কোয়াশের তরকারি আর ভাত। শুক্রবার শিলিগুড়ির সামসিয়া উর্দু জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলে আড়াই শো পড়ুয়ার মিড ডে মিলে এটাই ছিল মেনু। কারণ টাকার অভাব। প্রথমত, স্কুলের মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টে যে টাকা রয়েছে লাইনে দাঁড়িয়ে তুলতে সময় পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। দ্বিতীয়ত গত দু’মাসে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ প্রায় তিরিশ হাজার টাকা এখনও পুরসভার তরফে স্কুলের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে বিপাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ বাবুদ্দিন বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে লম্বা লাইন। মিড-ডে মিলের টাকা তোলা যায়নি। হাতে টাকাও নেই। যা ছিল তা দিয়ে গত ১০ দিন চালানো হচ্ছে। এর পর টাকা না পেলে স্কুলের শিক্ষকদের থেকে চাইতে হবে।’’ মিড ডে মিলের তহবিলে আগের দু’ মাসের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য এ দিন পুর কর্তৃপক্ষকেও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ওই স্কুলের মিড ডে মিলের দুই মাসের টাকা বাকি আছে বলে জানা নেই। তা দেখা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির জেরে স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল চালাতে যে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপ চাইব।’’ সামসিয়া উর্দু জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের ৩৭৫ জন পড়ুয়া রয়েছেন। গড়ে উপস্থিত থাকে ২৫০ পড়ুযা। এ দিন ২৭৫ জন উপস্থিত ছিল। তাদের মিড ডে মিলের জন্য চালের যোগান থাকলেও সব্জি, তেল, মশলা, গ্যাস কিনতে হয়। তাতেই সমস্যা হয়েছে।

এলাকার কাউন্সিলর তথা ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির সদস্য পিন্টু ঘোষ বলেন, ‘‘পরিস্থিতির জেরে মিড ডে মিলে সমস্যা কিছুটা হচ্ছেই। এলাকার পড়ুয়ারা অধিকাংশই গরিব পরিবারের। অনেকেই মিড ডে মিলের জন্যই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠায়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement