Coronavirus

উপসর্গ থাকলে যক্ষ্মা পরীক্ষাও

এখন পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় ১১৬৬ জন যক্ষ্মা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৩:১৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

করোনা উপসর্গ থাকলে লালারসের নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে যক্ষ্মা পরীক্ষার নমুনাও সংগ্রহ করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জ্বর, সর্দি, কাশি রয়েছে এমন ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি যক্ষ্মা পরীক্ষাও করতে হবে। কিন্তু যক্ষ্মা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার সময় তেমন কোনও সুরক্ষাবর্ম পরেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি যদি করোনা আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সঙ্কটে পড়বে। যক্ষ্মা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলেও পিপিই পরা বাধ্যতামূলক করা হোক, এমনই দাবি তুলেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করেই কর্মীদের কাজ করতে বলা হচ্ছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলায় গত বছরে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩২০০ জন। এ বছরে করোনা মোকাবিলার কাজ করছেন যক্ষ্মা নিবারণ বিভাগের কর্মীরাও। এখন পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় ১১৬৬ জন যক্ষ্মা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে।

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যক্ষ্মা আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তলানিতে থাকে। তাঁদের করোনা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি। এছাড়াও যক্ষ্মার সঙ্গে ডায়াবিটিস, এডস রোগের সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। এই কারণেই যক্ষ্মা আক্রান্তদের নিয়মিত রক্তের শর্করার মাপ ও এইচআইভি পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, ২২ মে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক নির্দেশিকায় করোনা পরীক্ষার সঙ্গেই যক্ষ্মা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই এই কাজ করতে যথেষ্ট আতঙ্কিত। তাঁদের একাংশের দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, এদিকে যক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার সময়ে তেমন কোনও সুরক্ষা স্বাস্থ্য কর্মীদের থাকে না। এই কারণেই পিপিই পরে নমুনা সংগ্রহের দাবি উঠেছে। জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাঁদের দ্রুত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের। সরাসরি কোনও নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement