প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ মিলল শিলিগুড়ির তিন বছরের শিশুর দেহে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই শিশুটিকে পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষায় সংক্রমণ মেলেনি। পরে, পরিবারের লোকেরা বাইরের ল্যাবরেটরিতে ‘আরটিপিসিআর’ পরীক্ষা করান। তাতে ‘পজ়িটিভ’ ফল আসে। অন্য় দিকে, জলপাইগুড়ি জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনও খোঁজ এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ফের করোনা-শঙ্কা দেখা দেওয়ায় সর্বত্র সতর্কতা অবলম্বনে জোর দেওয়া হচ্ছে।
শিশুটি গত পাঁচ দিন শিলিগুড়ি হাসপাতালেই ভর্তি ছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে তার ‘আরটিপিসিআর’ পরীক্ষা করানো হবে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির (ভিআরডিএল) দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অরুণাভ সরকার বলেন, ‘‘খবর এসেছে, বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে শিশুটির দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নিয়ম মেনে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হবে।’’ তিনি জানান, মাস দেড়েক ধরে নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে, সংক্রমণ মেলেনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে।
জলপাইগুড়িতে স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, করোনা নিয়ে এখনও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। করোনা-পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হতেই জেলা জুড়ে স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় উঠেছে বলে দাবি। ফের করোনা চোখ রাঙানোয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদন জানানো হলেও, তা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘মাস্ক পরার প্রবণতা বর্তমানে প্রায় নেই বললে চলে। মাস্ক ব্যবহারে শুধু করোনা নয়, অনেক রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।’’
করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাশাপাশি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকেও নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জেলায় করোনা-পরিস্থিতি মোকাবিলার সার্বিক পরিকাঠামো নিয়ে ‘ভার্চুয়াল’ মহড়ায় বসবেন কেন্দ্র ও রাজ্যের শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলায় করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ৬৫ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড এবং ‘হাইব্রিড ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট’ প্রস্তুত রাখা রয়েছে। জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদেব দাস বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা মেনেই করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’