কংগ্রেসের ঘর ভাঙল তৃণমূল

এ জেলার বংশীহারি থানার রামপাড়াচেঁচড়া এলাকার বসিন্দা গৌতম দাস গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের হাত চিহ্ন নিয়ে লড়াই করেন। তাঁকে সমর্থন করেছিল বামেরা। সেই নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সত্যেন রায়কে ১০,৭৩৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন গৌতম দাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩০
Share:

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে কংগ্রেসের ঘর ভাঙল তৃণমূল। গঙ্গারামপুরের কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাস যোগ দিলেন তৃণমূলে। সোমবার বালুরঘাটের ডানলপ মোড়ে তৃণমূল কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে গৌতমবাবুর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র।

Advertisement

জেলায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক গৌতম দাসের দল বদলের ইঙ্গিত কিছুদিন আগে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নির্বাচনের আগে জেলা কংগ্রেসে বড়সড় ধাক্কা লাগল বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জেলায় একমাত্র বিধায়ককে খুইয়ে লড়াইয়ের ময়দানেও অনেকটা পিছিয়ে পড়ল কংগ্রেস।

অবশ্য এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে চাননি জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। তিনি বলেন, ‘‘গৌতম রাজনৈতিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন। সেটা অচিরেই টের পাবেন। এতে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না।’’ কেন দলত্যাগ করলেন তা নিয়ে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘যা বলার বিপ্লববাবু বলবেন।’’

Advertisement

তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘রাজ্যে তৃণমূলের কোনও বিকল্প নেই। গত বিধানসভা ভোটে গঙ্গারামপুরের মানুষ গৌতমবাবুকে নির্বাচিত করেছিলেন। ফলে বাসিন্দাদের স্বার্থে ও উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হতে তিনি দলনেত্রীর কাছে তৃণমূলে যোগ দিতে আবেদন করেছিলেন। তাঁর নির্দেশে এ দিন তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।’’

এ জেলার বংশীহারি থানার রামপাড়াচেঁচড়া এলাকার বসিন্দা গৌতম দাস গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের হাত চিহ্ন নিয়ে লড়াই করেন। তাঁকে সমর্থন করেছিল বামেরা। সেই নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সত্যেন রায়কে ১০,৭৩৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন গৌতম দাস।

এ দিন সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘নীতি বিসর্জন দিয়ে দলবদল হল। এতে বাসিন্দাদের কাছে কোনওরকমের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকল না।

সম্প্রতি রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির পক্ষে ভোট করেন কংগ্রেস বিধায়ক গৌতমবাবু। তারপরেই তৃণমূল মহাসচিব পার্থবাবু গৌতমবাবুর দলবদলের জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement