আক্রান্ত বাড়ছেই,তবু উঠছে ঢিলেমির অভিযোগ

করোনার প্রকোপ রুখতে প্রশাসনিক তৎপরতায় ঢিলে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০২:১১
Share:

সাবধানতা: বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়িতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গেলেও থেমে যায়নি। বুধবার রাতে আরও নতুন করে ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আরও পাঁচ জন আক্রান্ত হলেন। সব মিলিয়ে কোচবিহার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২২ জন। এই অবস্থায় করোনার প্রকোপ রুখতে প্রশাসনিক তৎপরতায় ঢিলে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘসময় পরে একটি ট্রুন্যাট মেশিন বসানো হয়েছে। একটি আরটিপিসিআর মেশিন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল কলেজের হাতে তুলে দিলেও এখনও তা চালু করা যায়নি। এর বাইরে প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বাজার-দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছে না কেউ। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “করোনা পরীক্ষার গতি বাড়াতে ব্যবস্থার উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে।”
পরিযায়ী শ্রমিকেরা কোচবিহারে ফিরতে শুরু করতেই জেলার করোনা আক্রান্তের গ্রাফ হু হু করে বাড়তে শুরু করে। দু’সপ্তাহের মধ্যে কোচবিহারে ২২২ জন করোনায় আক্রান্ত হন। ছয় হাজারের বেশি বাসিন্দার লালারস পরীক্ষার পরেই ওই আক্রান্ত পাওয়া যায়। এই অবস্থায় কোচবিহার জেলায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি উঠতে থাকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিলিগুড়ি, মালদহ তো বটেই, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলাতেও একাধিক ট্রুন্যাট মেশিন বসিয়ে লালারস পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। সেখানে কোচবিহারে একটি মেডিক্যাল কলেজ থাকা সত্ত্বেও সেখানে পরীক্ষা শুরু করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, কোচবিহার প্রায় দেড় লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। তাঁদের একটি সামান্য অংশেরই লালারস পরীক্ষা হয়েছে। পরে অবশ্য কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে একটি ট্রুন্যাট মেশিন বসানো হয়। যদিও সেটি সঠিক ভাবে চলছে না বলেও অভিযোগ। মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক বলেন, “দ্রুত ট্রুন্যাট এবং আরটিপিসিআর মেশিনটি চালু করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
লকডাউনের শুরুতে কোচবিহারে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল প্রশাসন। দীর্ঘসময় পুলিশ-প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে পরিবেশ অনেকটাই ঠিকঠাক ছিল। লকডাউন পর্ব শিথিল হতেও সেই অবস্থারও পরিবর্তন হয়। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও একাধিক দোকান খোলা রাখার অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারে। সেই সঙ্গে সন্ধ্যার পরেও একাধিক জায়গায় ভিড় জমে যায় বলে অভিযোগ।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “দীর্ঘসময় লকডাউনের পরে একটু সুযোগ পেয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। সবাই যাতে নিয়ম মেনেই চলাচল করেন সে ব্যাপারে নজরদারি রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement