১০০ দিনের কাজের সূত্রে ‘ঘনিষ্ঠতা’। বিয়ের দাবিতে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে ধর্না দিলেন এক বিবাহিত মহিলা। ধর্না দিয়েও মনোভাব বদলাতে না পেরে থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়চড়াবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই সন্তানের মা মাম্পি অধিকারী নামে ওই মহিলা আগে পঞ্চায়েতের অধীনে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করতেন। সম্প্রতি তাঁকে সুপারভাইজারের দায়িত্ব দেন বিজেপির ওই পঞ্চায়েত সদস্য জগদীশ রায়। তার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ধীরে ধীরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। মাম্পির অভিযোগ, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন জগদীশ তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। তাই বিয়ের দাবিতেই বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে ধর্না দেন তিনি।
কিন্তু, এর পরেও জগদীশ তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ধূপগুড়ি থানায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন মাম্পি। তার ভিত্তিতেই জগদীশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন জগদীশ। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি।’’
এই ঘটনায় গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধর্মনারায়ণ রায় বলেন, ‘‘বিজেপির এটা সংস্কৃতি। বিজেপি হচ্ছে সুবিধাবাদী দল। এ ভাবেই অসহায় মহিলাদের দুর্বলতার সুবিধা নিয়ে থাকে ওরা।’’