Bengal Cricket team

ইচ্ছে আর জেদের জোরে বাংলা ক্রিকেট দলে মেয়ে

সিএবির তরফে ফোন পেয়ে বৃহস্পতিবারই কলকাতা রওয়ানা হয়ে গিয়েছেন রাসমণি। কেন না, মাঝে মাত্র কয়েক দিন। আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে ইন্দোরে শুরু হচ্ছে রাজ্য স্তরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।

Advertisement

বাপি মজুমদার 

চাঁচল শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৮
Share:

প্রশিক্ষক রাজেশ দাসের সঙ্গে রাসমণি। নিজস্ব চিত্র

আশানুরূপ খেলতে না পারায় গত বছর মাঝপথে ছিটকে যান মেয়ে। তার পরেও হাল ছাড়েননি। বাড়ি ফিরে কঠোর অনুশীলন শুরু করেন। ফলও মিলেছে। অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ক্রিকেটের বাংলার চূড়ান্ত দলে ফের সুযোগ পেল মালদহের চাঁচলের রাসমণি দাস। বুধবার দিনই সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৯-এর চূড়ান্ত দল ঘোষণা হয়। তাতে ১৬ জনের তালিকায় রয়েছেন রাসমণি।

Advertisement

সিএবির তরফে ফোন পেয়ে বৃহস্পতিবারই কলকাতা রওয়ানা হয়ে গিয়েছেন রাসমণি। কেন না, মাঝে মাত্র কয়েক দিন। আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে ইন্দোরে শুরু হচ্ছে রাজ্য স্তরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে বাংলা দল। মালদহ থেকে এই প্রথম কোনও মেয়ে পরপর দু’বার বাংলা দলের হয়ে খেলবেন। ফলে, রাসমনির কৃতিত্বে চাঁচল তো বটেই, জেলা জুড়েই খুশির আবহ তৈরি হয়েছে।

চাঁচল রানি দাক্ষায়ণী স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া রাসমণির সঙ্গে ক্রিকেটের প্রেম ছোটবেলা থেকে। চাঁচল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রাজেশ দাসের কাছে প্রশিক্ষণ নিতেন মেয়েট। দীর্ঘদিন ধরে কার্যত বিনা পয়সায় ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন পেশায় স্কুল শিক্ষক রাজেশ। বুধবার তালিকা প্রকাশের পরে চূড়ান্ত তালিকায় ফের রাসমণির নাম দেখে খুশি রাজেশ। তিনি বলেন, ‘‘ইচ্ছে আর জেদ থাকলে প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও যে কিছু করে দেখানো যায় তা রাসমণি দেখিয়ে দিয়েছে। এক বার ছিটকে গিয়েও হাল ছাড়েনি।’’ রাসমনির বাবা রবীন্দ্রনাথ দাস ছোট ব্যবসায়ী। মা শম্পা বিউটিশিয়ান। ফের মেয়ে সফল হওয়ায় খুশি দু’জনেই। রাসমণি জানান, প্রথম বার কিছুটা হলেও জড়তা ছিল। এ বার তিনি অনেকটাই পরিণত। ফের সুযোগ পেয়ে নিজেকে উড়াড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান রাসমণি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement