Mamata Banerjee in Nadia

মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ‘অনাহূত’ বিরোধী জনপ্রতিনিধিরা

রাজনৈতিক মহলের অভিজ্ঞতা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধীদের ডাকার ‘রেওয়াজ’ সাধারণত নেই। আগামী বৃহস্পতিবার রানাঘাট ১ ব্লকের হবিবপুরে ছাতিমতলার মাঠে ওই প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫০
Share:

নদিয়ায় প্রশাসনিক জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত বিজেপির খাসতালুক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দক্ষিণ নদিয়ায় প্রশাসনিক জনসভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে দক্ষিণ নদিয়ায় এক মাত্র শান্তিপুর বাদে আটটির মধ্যে বাকি সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র‌ই রয়েছে বিজেপির হাতে। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় দু’লাখ ভোটে জিতেছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। কিন্তু এঁদের কেউই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ। ফলে নদিয়ার প্রায় অর্ধেক অংশের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না বলে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের পুর ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে থাকছেন।

Advertisement

তবে নদিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায়ের দাবি, “এই ধরনের বৈঠকে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিদের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। আমন্ত্রণের বিষয়টি প্রশাসনের হাতে।” তবে বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণের বিষয়ে রাত পর্যন্ত নদিয়া জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কোনও স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজনৈতিক মহলের অভিজ্ঞতা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধীদের ডাকার ‘রেওয়াজ’ সাধারণত নেই। আগামী ১০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রানাঘাট ১ ব্লকের হবিবপুরে ছাতিমতলার মাঠে ওই প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা। দক্ষিণ নদিয়ার সাত বিজেপি বিধায়ক এবং রানাঘাটের সাংসদ জানিয়েছেন, সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁরা বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাননি। একই কথা জানিয়েছেন রাজ্যে বামেদের হাতে থাকা এক মাত্র পুরবোর্ড তাহেরপুর পুরসভার কাউন্সিলরেরাও।

Advertisement

যে জায়গায় বৈঠক হচ্ছে, সেটি রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানকার বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “বৈঠকের কথা কেউ কিছু জানায়নি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের লোকেদের নিয়েই বৈঠক করেন।”

রানাঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথের মতে, “প্রশাসনিক বৈঠকের নামে তো আসলে এগুলো তৃণমূলের বৈঠক।” তাহেরপুরের সিপিএম পুরপ্রধান উত্তমানন্দ দাসও বলছেন, “সবাইকে বৈঠকে ডাকা হবে, এটাই গণতন্ত্রে কাম্য। কিন্তু আমাদের কোনও বারই ডাকা হয় না।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement