প্রতীকী চিত্র।
ফুটপাতে তৈরি দোকান ঘরের চালার কোন দিকে ঢাল হবে, তা নিয়েই দিন কয়েক থেকে ডোমকল পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর এলাকায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। আর সেই ঝামেলায় জড়িয়ে রবিবার বিকেলে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাবলাবোনা এলাকার বুথ সভাপতির আসাদুল ইসলাম সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তার ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সাঈদ আনোয়ার নামে এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। তাতেই জখম হয়েছে সাঈদ। তাকে ডোমকল মহাকুমা হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযুক্ত আসাদুল পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশিও চলছে এলাকায়। আসাদুল ডোমকলের পুরপ্রধান তৃণমূলের জাফিকুল ইসলামের কাছের লোক বলে অভিযোগ উঠছে। যদিও জাফিকুলের দাবি, ‘‘আসাদুল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, জানি না। পুলিশকে বলেছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে। আমরা চাই ডোমকলের শান্তি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহেরের বক্তব্য, ‘‘প্রকাশ্যে গুলি ছোড়াকে কোনও ভাবেই সমর্থন করছি না। পুলিশকে বলেছি, অভিযুক্ত যে দলেরই হোক, যে নেতার সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠতা থাক, তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। দলগত ভাবেও আমরা বিষয়টি দেখছি।’’
বহরমপুর-করিমপুর রাজ্য সড়কের পাশে রঘুনাথপুর এলাকায় পাশাপাশি বাড়ি সাঈদ আনোয়ার ও রফিকুল শেখের। বাড়ির সামনে ফুটপাতে দিন কয়েক আগে সাঈদ একটি দোকান তৈরির জন্য চালা দেওয়া শুরু করে। চালার ঢালকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বচসা। আর সেই সময় খবর পেয়ে রফিকুলের বন্ধু আসাদুল তার দলবল নিয়ে হাজির হয় সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কয়েকটি মোটরবাইকে ১২ থেকে ১৩ জন লোক এসেই গুলি ছুড়তে শুরু করে একেবারে চৌরাস্তার মোড়ে।