BJP

BJP: বিক্ষুব্ধ পদ্ম নেতাদের ক্ষোভ চড়ছে

হেমন্ত ঘোষ ও ষষ্টীবাবু ছাড়াও বিক্ষোভে ছিলেন একাধিক বিদায়ী মণ্ডল ও শহর কমিটির সভাপতি। দলের ফরাক্কায় তিন বার প্রার্থী হয়েছেন ষষ্টীবাবু।

Advertisement

বিমান হাজরা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ০৯:০৮
Share:

সমাবেশ। নিজস্ব চিত্র।

দিনভর বিজেপির বিক্ষোভ ছড়াল উত্তর মুর্শিদাবাদেও। রঘুনাথগঞ্জে সকালে দলীয় অফিসে ঝুলল তালা, হল মিছিল। বিকেলে দলের শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রবীণ নেতাদের সাংবাদিক বৈঠক। বিজেপির জেলা ও রাজ্য কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলের দুই প্রবীণ বিদায়ী রাজ্য কমিটির সদস্য হেমন্ত ঘোষ ও ষষ্টীচরণ ঘোষ। দাবি উঠল বিজেপি উত্তর মুর্শিদাবাদের সভাপতির অপসারণ, সমস্ত কমিটিকে বরখাস্ত ও জেলার ৩৬টি মণ্ডল কমিটির পুনর্গঠন।

Advertisement

হেমন্ত ঘোষ ও ষষ্টীবাবু ছাড়াও বিক্ষোভে ছিলেন একাধিক বিদায়ী মণ্ডল ও শহর কমিটির সভাপতি। দলের ফরাক্কায় তিন বার প্রার্থী হয়েছেন ষষ্টীবাবু, হেমন্তবাবু দু’বার। কোনও বারই অবশ্য জিততে পারেননি তাঁরা।

বিদায়ী রাজ্য কমিটির সদস্য হেমন্ত ঘোষের সরাসরি অভিযোগ, “চিটার, অসামাজিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিয়ে গড়া উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি বাতিল করে পুরনো ও নতুন সদস্যদের সমন্বয়ে গড়তে হবে জেলা সভাপতি থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত সমস্ত দলীয় কমিটি।” এই মর্মে এ দিনই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে কড়া ভাষায় একটি অভিযোগ পত্রও পাঠিয়েছেন তাঁরা।
তাঁর অভিযোগ, “দলের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ স্বজন পোষণ করছেন। যাঁদের আনা হয়েছে কমিটিতে তাঁরা কারা? দলের দীর্ঘ দিনের সাথীরা মার খাচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। যাঁদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে তারা কেউ কোনওদিন বিজেপি পরিবারের লোক নয়। অসামাজিক লোক। তাঁদের সম্পর্কে বার বার রাজ্য কমিটিকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয় নি। রাজ্য কমিটির নেতারা ফোন পর্যন্ত ধরেন না জেলার প্রবীণ কর্মীদের। দুর্ব্যবহার করা হয়।”

Advertisement

তাই তাঁর দাবি, “উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলার এই কমিটি ভেঙে, অদক্ষ-অপরিণত সভাপতিকে সরিয়ে নতুন একজন যোগ্য নেতাকে দায়িত্ব দিন, যাতে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।”
রাজ্য স্তরের এক নেতার নাম করে হেমন্তবাবুর অভিযোগ, “তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। কোনও কথা শোনেন না। আমি নিজে কয়েক বার তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ফরাক্কায় ধর্ষিতা হয় এক নাবালিকা। তার জন্য সাহায্য চাইতে গেলে আমাকে ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। তিনি বিধানসভা ভোটের সময় যে আচরণ করেছেন তা বলার নয়।’’ রাজ্য স্তরের ওই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

হেমন্তবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য কমিটিকে আমাদের কথা জানিয়েছি। জেলা কমিটির সঙ্গেও বসার চেষ্টা করেছি। এই কার্য্যকর্তাদের সরিয়ে না দিলে দল কোনওদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। দলকে সামনে রেখে সিন্ডিকেট রাজ চালু করার চেষ্টা চলছে।’’

জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ অবশ্য বলেন, “২০১১ সালের পর হেমন্তবাবুকে দেখা যায়নি, আবার ২০২১-এ উদয় হয়েছেন ভোটের সময়। ষষ্টীবাবু অসুস্থ। ৪ জন দলীয় নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদের নিয়ে ৩০/৪০ জন লোকের অফিসে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখানোকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছি না আমি। তাঁরা রাজ্য কমিটি , কেন্দ্রীয় কমিটি যেখানে খুশি যান। নাম বলুন দলে কে অসামাজিক ব্যক্তি, কে চিটার?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement