প্রস্তুতি কৃষ্ণনগরেও। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভা করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসবেন প্রায় ৪০ হাজার তৃণমূল কর্মী। বুধবার তাঁদের নিয়ে আসতে বাস ভাড়া করতে শুরু করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। ফলে বুধবার সকাল থেকে জেলার রাস্তায় তেমন বাসের দেখা মিলবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। একই রকম কথা শোনা গিয়েছে বাস মালিকদের গলাতেও।
বাসগুলি কোথায় রাখা হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে প্রশাসনিক মহলে। জেলার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক ধরে যে সব বাস আসবে তাদের জন্য জাতীয় সড়কের পাশেই বেশ কয়েকটি পার্কিং দোন থাকবে। করিমপুর, তেহট্ট ও চাপড়া এলাকার বাস পার্কিং করা হবে বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। রাজবাড়ির মাঠ ও কারবেলার মাঠেও বাস রাখার ব্যবস্থা থাকবে। কৃষ্ণনগর শহরে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। শহরের প্রতিটি মোড়ে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ কর্মী। নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি শহরের রাস্তায় যান চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা-ও খেয়াল রাখবেন পুলিশকর্মীরা। শহরের ওয়ান ওয়ে রাস্তাগুলিতে যাতে কোনওভাবেই যাননিয়ম লঙ্ঘন না হয় সে দিকে নজরদারি চলবে।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন রানাঘাটের হবিবপুরে ছাতিমতলার মাঠে। সেখানে তাঁর পৌঁছনোর কথা হেলিকপ্টারে। দুপুর দু’টো থেকে শুরু হবে জনসভা। জনসভা শেষে তিনি চলে আসবেন কৃষ্ণনগরে। সার্কিট হাউজে রাত্রিবাস করবেন। পর দিন কৃষ্ণনগরে তাঁর দু’টি কর্মসূচি আছে। প্রথমে দুপুর দু’টোর সময় কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে প্রায় ৪০ হাজার কর্মীর সঙ্গে কর্মিসভা করবেন। তার পর রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। দুপুর তিনটে থেকে কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই সফর ঘিরে তাই প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে।
আজ রানাঘাটের ছাতিমতলা মাঠের জনসভা ঘিরেও পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে। মোতায়ন থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী। জেলা শাসক বিভু গোয়েল বলেন, “প্রোটোকল অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন সবটাই করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে সব রকম প্রশাসনিক প্রস্তুতি।”