প্রতীকী ছবি।
বাংলার এক শ্রমিকের মৃত্যু হল কর্নাটকে। সুগার প্ল্যান্টের বয়লার ফেটে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সন্দীপ মণ্ডল (২১)। তাঁর বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার শিবপুর গ্রামে। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন প্রসেনজিৎ মণ্ডল নামে আর এক জন। তিনি তেহট্টের পুটিমারি গ্রামের বাসিন্দা। সম্পর্কে তাঁরা পিসতুতো ভাই।
বছরখানেক আগে কর্নাটকে কাজ করতে যান সন্দীপ এবং প্রসেনজিৎ। সেখানে বিজাপুর জেলার গলগলি এলাকায় একটি সুগার প্ল্যান্টে কাজ পান তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সুগার প্ল্যান্টে সন্দীপ ও প্রসেনসিৎ-সহ পাঁচ জন কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকাই একটি বয়লার ফেটে যায়। তাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন তাঁরা। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার রাতে সেখানেই সন্দীপের মৃত্যু হয়। প্রসেনজিৎ আইসিইউ-তে ভর্তি। বাকি ৩ জনের বাড়ি বিহার ও উত্তরপ্রদেশে।
সন্দীপ ও প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁদের ভাইয়েরাও কর্নাটকে কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রসেনজিতের ভাই বাপ্পা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি, দাদা আমার পিসির দুই ছেলে একসঙ্গে কর্নাটকে এসেছিলাম। শুক্রবার কাজ করতে করতে বয়লার ফেটে যায়। তাতেই আমার দাদা ও পিসির ছোট ছেলে গুরুতর আহত হন। রবিবার রাতে আমার পিসিতুতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমার দাদার অবস্থাও খুব খারাপ।’’
সোমবার সকালে এই ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছনোর পর থেকেই কান্নার রোল উঠেছে দুই বাড়িতে। পরিবারের লোকেরা জানান, ময়নাতদন্তের পরেই সন্দীপের দেহ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা।