ঠিকাদারদের কাছে থেকে ১২ কোটি সংগ্রহ করে শাসকদলের তিন প্রার্থীকে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলেছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এ বার নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর লিখিত অভিযোগে সে কথাই জানিয়েছেন অধীর। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অধীরের অভিযোগের তির— যুগপৎ জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের দিকে।
শাসক দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে জেলাশাসক-পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নিয়ে এই দুর্নীতি করেছেন। এ বারে তিনি জেলাশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলার একদল পুলিশ আধিকারিকের বদলি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে দলের অন্দরের খবর। সোমবার তিনি দেশের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে সেই চিঠি পাঠিয়েছেন।
সোমবারের অভিযোগের বিষয়ে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘যা জানানোর নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞাসা করুন।’’ জেলাশাসক পি উলাগানাথন অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য
করতে চাননি।
অধীর বলেন, ‘‘ওঁরা দু’জনে কি ভাবে জেলা চালাচ্ছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই দেখছেন মানুষ। এমন দলদাস হয়ে গেলে অভিযোগ তো করতেই হয়। তবে কি অভিযোগ করেছি, এর বেশি বলব না।’’
শাসকদলের দুষ্কৃতীরা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোটের প্রচারে নানা ভাবে বাধা দিচ্ছে বলে অধীরের অভিযোগ। তাঁদের দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স পোস্টার তৃণমূলের লোকজন জোর করে খুলে দিচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন থানার ওসি, সার্কেল ইন্সপেক্টর, এসডিপিও এবং পুলিশ সুপার শাসক দলের কথায় চলছেন। রাজ্যের এক মন্ত্রীর সাথে পুলিশ সুপারের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন। যার ফলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যহত হতে পারে। তাঁর দাবি, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে এই সব অফিসারদের বদলি করা প্রয়োজন।
অধীরের অভিযোগ, সালার ও কান্দি এলাকায় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাঁর দাবি, সালার ও কান্দি এলাকার দু’জন পরিচিত দুষ্কৃতী এলাকায় সন্ত্রাস করছে। তাদের গ্রেফতার না করলে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন ব্যাহত হবে। তিনি অভিযোগপত্রে ওই দু’জনের নামও উল্লেখ করেছেন।