—প্রতীকী ছবি।
ইটভাটাতে কাজ করার সময় ইট পোড়ানোর চিমনির প্রাচীর ধ্বসে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে পড়ে গেলেন দুই ভাই। মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে কাঁচা ইট সরিয়ে উদ্ধার করা হয় দু’জনকে। উদ্ধার করে তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যু হল এক জনের। অন্য জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নদিয়া নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত ভালুকা আনন্দবাস এলাকার একটি ভাটায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মালিক পক্ষের কোনও গাফিলতি ছিল কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সূত্র মারফত জানা যায়, নবদ্বীপ থানা এলাকার আনন্দবাসে একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ভালুকা পঞ্চায়েতের নতুনপাড়া এলাকার দুই ভাই সুবল বাগ(৪৫) ও কল্যাণ বাগ (৩৭)। জ্বলন্ত চিমনির পাশে ইট পোড়ানোর সময় কাঁচা ইটের পাঁজার উপর কাজ করছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই একটি গার্ডোয়াল হঠাৎই ধ্বসে যায়। জ্বলন্ত ইটের মধ্যে আটকা পড়ে যান দু’জনেই। অন্য শ্রমিকরা ছুটি এসে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে কাঁচা ইট সরিয়ে দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রতাপনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মধ্যে সুবলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় কল্যাণকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক তন্ময় দাস বলেন, ‘‘পোড়ানোর জন্য জড়ো করা কাঁচা ইটের গাদার উপরে কাজ করছিল দুই ভাই। হঠাৎ ধসে গিয়ে দু’জনেই আগুনের মধ্যে পরে যায়। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক জনের মৃত্যু হয় ও আর এক ভাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’’