নিজস্ব চিত্র
মিড ডে মিলের চালে প্লাস্টিক জাতীয় কিছু একটা মেশানো হচ্ছে। রান্না হওয়া ভাতেও প্লাস্টিকের দানা জাতীয় জিনিস পাওয়া গিয়েছে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার তেহট্টে। শুক্রবার তেহট্টের-১ ব্লকের ছিটকা পঞ্চায়েত এলাকায় আসতুল্লানগর জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিনভর বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। চালে কিছু একটা মেশানোর কথা স্বীকার করে নিয়ে এই ঘটনার দায়ভার ডিলারের উপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ডিলারের অবশ্য দাবি করেছেন, মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের যে চাল দেওয়া হচ্ছে, তা বেশি পুষ্টিকর।
শুক্রবার স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার রান্না হওয়ার পর থেকেই ভাতে প্লাস্টিক জাতীয় কিছু মেশানোর অভিযোগ উঠতে শুরু করে স্কুল চত্বরে। প্রণব বালা নামে এক অভিভাবকের দাবি, ‘‘রান্নার পর খাবারে সাদা সাদা কী সব ভাসছিল! রাঁধুনিরও সন্দেহ হয়েছে ওইগুলো দেখে।’’ এ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হতেই স্কুলে ছুটে আসেন ছিটকা পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্চিতা বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন, ‘‘খালি চোখে দেখলেই বোঝা যায়, চালে কোনও কারচুপি হয়েছে। এই কারচুপির সঙ্গে কেউ যুক্ত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হোক। শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে এ ভাবে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হোক।’’ গ্রামবাসীদের দাবি, চালের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হোক।
অভিভাবকদের সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্লব মণ্ডল। যদিও তাঁর দাবি, এতে তাঁর কোনও হাত নেই। প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘চালের সঙ্গে সাদা প্লাস্টিকের দানার মতো কিছু মেশানো হয়েছে। চাল আসে ডিলারের কাছ থেকে। ডিলারই যা বলার বলবেন।’’ ডিলার সৌরভ আগরওয়াল অবশ্য বলছেন, ‘‘মিড ডে মিলের জন্য নতুন ধরনের চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। যার নাম ফর্টিফায়েড রাইস। যাতে ৭০:৩০ অনুপাতে পুষ্টিকর দানা মেশানো হয়।’’
ডিলারের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিডিও শুভাশিস মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-১২ ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ সমন্বিত চাল এ বার থেকে মিড ডে মিলের খাবারের জন্য সরবরাহ করা হবে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের জানা উচিত ছিল।’’