মেদিনীপুরের মুরগি খামার। —নিজস্ব চিত্র।
আধুনিক সুবিধাযুক্ত সরকারি মুরগি খামারের উদ্বোধন হবে আজ, শনিবার। মেদিনীপুরে নতুন এই খামার তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ৬৪ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। খামারে সাড়ে ৪ হাজার মুরগি থাকবে। বছরে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মুরগি ছানা মিলবে। ফলে, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, এই খামার থেকে বাঁকুড়া- পুরুলিয়া-সহ পাশ্ববর্তী জেলায় মুরগি ছানা সরবরাহ করা যাবে। আজ, শনিবার নবনির্মিত খামারটির উদ্বোধন করবেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের উপ-অধিকর্তা তপন সাধুখাঁ বলেন, “নতুন খামারে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো যেমন, ফিড গোডাউন, মিক্সিং ইউনিট থেকে সেলস্ কাউন্টার সমস্ত কিছুই রয়েছে।” তাঁর দাবি, “এটিই রাজ্যের সবথেকে বড় সরকারি মুরগি খামার।” দফতরের সহ-অধিকর্তা (মুরগি খামার) কিংশুক মাইতি বলেন, “পুরনো খামার থেকে যেখানে ১ লক্ষ মুরগি ছানা মেলে, সেখানে নতুন খামার থেকে বছরে সাড়ে ৪ লক্ষ মুরগি ছানা মিলবে।”
মেদিনীপুর শহরের অশোকনগরের কাছে ১৯৫০ সালে এই সরকারি হাঁস-মুরগি খামারটি তৈরি হয়। তবে, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের ওই খামারটি দীর্ঘদিন ধরে পরিকাঠামোগত সমস্যায় ধুঁকছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে হাঁস-মুরগি ছানা বিতরণ করা হয়। এক সময় এই খামার থেকে যে সংখ্যক হাঁস- মুরগী ছানা মিলত, তা দিয়েই জেলার চাহিদা মিটে যেত। তবে, এখন পরিস্থিতি অন্য। গত কয়েক বছর ধরেই সরকারি প্রকল্পগুলোর চাহিদা মেটাতে বাইরের জেলা থেকে ছানা আনতে হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে পুরনো খামারের পাশে নতুন খামার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ৪ একর জমির উপর নতুন খামারটি তৈরি হয়েছে। যে সব গাড়ি খামারে ঢুকবে, সেগুলোর মাধ্যমে যাতে সংক্রমণ না-ছড়ায়, তার ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের এক আধিকারিক বলছিলেন, “এ ক্ষেত্রে স্প্রে করে সংক্রমণ রোধে পদক্ষেপ করা হবে।”
দফতরের এক সূত্রে খবর, পরবর্তীকালে পুরনো খামারটির হাল ফিরিয়ে সেখানে শুধুমাত্র হাঁস রাখার ব্যবস্থা করা হতে পারে। তার আগে হাল ফেরানোর জন্য খামারটির আমূল সংস্কার করা হবে। অন্য দিকে, চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত দেড় লক্ষের কাছাকাছি মুরগি ছানা বিতরণ হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “পরিকাঠামোগুলোর সঠিক দেখভালের সব রকম চেষ্টা করা হবে।”