বাতিল হয়ে গেল খেজুরি-১ ব্লকের কলাগেছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের তলবি সভা। মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির জন্য তলবি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সভায় মাত্র দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য সুকুমার জানা ও শঙ্করপ্রসাদ দাস উপস্থিত ছিলেন। ফলে ‘কোরাম’ না হওয়ায় সভা বাতিল হয়ে যায়। খেজুরি-১ ব্লকের ব্লকের বিডিও সৌম্যজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের নিয়ম অনুসারে, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা সভা কোরামের অভাবে বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে আগামী এক বছর পঞ্চায়েত প্রধান বিপ্লববহ্নি দাসের প্রধান পদে থাকা নিয়ে কোনও আইনগত সমস্যা রইল না।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কলাগেছিয়া পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে পরমেশ্বর মণ্ডল-সহ সাত জন পঞ্চায়েত সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তলবি সভা ডাকেন বিডিও। কয়েকদিন আগে খেজুরিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলাগেছিয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘিরে রেখেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ তলবি সভার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা খেজুরি-১ ব্লক কো-অপারেটিভ ইন্সপেক্টর সুলগ্ন মুখোপাধ্যায় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। কিন্তু মাত্র দু’জন সদস্য উপস্থিত থাকায় সভা বাতিল হয়ে যায়। এ দিন সভায় পঞ্চায়েত প্রধান বিপ্লববহ্নি দাস-সহ সাত জন পঞায়েত সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। পঞ্চায়েতের বাকি ছ’জন সদস্য সভায় উপস্থিত থাকলেও পরমেশ্বর মন্ডল-সহ বাকি চার জন উপস্থিতির খাতায় স্বাক্ষর করেননি জানা গিয়েছে। প্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে পরিচিত পরমেশ্বরবাবু জানান, প্রধানের গোষ্ঠীর লোকেরা যে তিন জন পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণ করেছিলেন, সেই তিন জনের পরিবারের লোকেরা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আগামী ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত হাইকোর্ট অনাস্থা সভার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় তাঁরা সভায় উপস্থিত ছিলেন না। যদিও হাইকোর্ট থেকে তলবি সভার উপর স্থগিতাদেশের কোনও চিঠি মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসনের হাতে আসেনি বলে বিডিও সৌম্যজিৎ দত্ত জানিয়েছেন।